মহুয়া গোপকে ঘিরে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় ডাক পাননি মালবাজারের উদ্ধারকারীদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থল ছেড়ে যেতেই তা নিয়ে তৃণমূলের নেত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। মঙ্গলবার এমনই ছবি দেখা গেল জলপাইগুড়িতে।
বিজয়া দশমীর দিন মাল নদীতে নেমেছিল হড়পা বান। বিপত্তি থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন অনেকেই। মঙ্গলবার মালবাজারের মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় সেই উদ্ধারকারীদের সাত জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় এক লক্ষ টাকার চেক। দেওয়া হয় সরকারি চাকরির প্রস্তাবও। কিন্তু উদ্ধারকার্যে সামিল হলেও মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উদ্ধারকারীদের একাংশ ডাক পাননি বলে উঠছে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থল ত্যাগ করতেই জলপাইগুড়ি জেলার সভানেত্রী মহুয়া গোপকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও।
বিক্ষোভকারীদের মধ্য়ে ছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা তরিফুল ইসলাম এবং ফরিদুল ইসলাম। মালবাজারের দুর্ঘটনার পর তরিকুল এবং ফরিদুলের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক এবং জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ। তাঁরা দু’জনকে সংবর্ধনাও দেন। আমন্ত্রণ পেলেন না ওই দু’জন মঙ্গলবার গিয়েছিলেন মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে। তাঁদের সঙ্গে ছিল আগের সংবর্ধনার স্মারকও। তরিকুল বলেন, ‘‘উদ্ধারের পর আমাদের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। এর পর অনেকেই আমাদের সংবর্ধনা দেয়। বিধায়ক আমাদের শুভেচ্ছাও জানান। কিন্তু তালিকায় সকলের নাম থাকলেও আমরা কেন বাদ পড়লাম সেটা বুঝতে পারছি না। তাও আশা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের বার করে দিয়েছে।’’
এ নিয়ে মহুয়া বলেন, ‘‘প্রশাসনিক ভাবে সভার আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের জেলার জেলাশাসক এবং মালবাজারের মহকুমাশাসকের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টা দেখা হয়েছে। মালের পুরপ্রধানের থেকে যা তথ্য তাঁরা পেয়েছেন সেই হিসাবেই তালিকা তৈরি হয়েছে। আমিও এই কথা শুনেছি যে অনেকেই আমন্ত্রণ পাননি। যদি এম কেউ থাকেন, তবে পুর প্রশাসন তাঁদের চিহ্নিত করে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy