প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা এবং হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। — ফাইল চিত্র।
দল বদলের ‘খেলা’ নিয়ে দার্জিলিং পাহাড়ে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা এবং হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডের চাপান-উতোর ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি অজয়ের দল হামরো পার্টির দুই জিটিএ সদস্য অনীতের দলে যোগ দিয়েছেন। তার পর থেকেই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা শুরু হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড অভিযোগ করেছেন, অনীত কোটি টাকা করে খরচ করে এক-এক জন জিটিএ সদস্য কিনছেন। যা শোনার পরে, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার তরফে মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার অনীত থাপা বলেছেন, ‘‘রাজনীতিতে অনেক কিছুই সম্ভব। আর রাজনীতিতে নেমে কথাবার্তা বলা নিয়েই সতর্ক থাকতে হয়। কোটি কোটি আমাদের দল কেন জিটিএ সদস্যকে দেবে! উন্নয়নের কাজে শামিল হতেই দু’জন দল ছেড়েছেন।’’
ছট পুজোর পরেই প্রোমোসকর ব্লোন এবং ভুপেন্দ্র ছেত্রী মাস খানেক টানাপোড়েনের পরে হামরো পার্টি ছেড়ে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেন। যা নিয়ে দুই দলের সমস্যা তৈরি হয়। হামরো পার্টির তরফে প্রথমে অভিযোগ করা হয়, টাকা শুধু নয় পদ, ক্ষমতা, দফতর এবং গাড়ির প্রলোভন দেখিয়ে দল ভাঙা হচ্ছে। এ দিনই কার্শিয়াং মহকুমার গাড়িধূরা, মহানদী এলাকার ৬৭টি পরিবার হামরো পার্টি থেকে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় এসেছে। দলত্যাগীদের দাবি, পুরানো দলে থেকে এলাকার দাবিদাওয়া পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁরা অনীত থাপার দলে নাম লিখেছেন। দলের নেতাদের দাবি, শুধু দু’জন জিটিএ সদস্য নন, আরও দু’জন সদস্য যোগাযোগ করছেন। তাঁদের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। যা নিয়ে হামরো পার্টির নেতারা বলেছেন, ‘‘বিরোধীশূন্য পাহাড় তৈরির পথে অনীতের দল এগোচ্ছে। যে গণতন্ত্র, সর্বদলীয় শাসনের কথা বলা হয়, তা-ই নষ্ট করা হচ্ছে।’’
অজয় এডওয়ার্ডের কথায়, ‘‘নতুন দার্জিলিং তৈরির কাজ আমরা চালিয়ে যাব। সেখানে এক-দু’জন ভুল পথে গেলে কোনও অসুবিধা নেই। আমরা মানুষের প্রতিনিধি, নেতাদের নয়। দলত্যাগীদের মানুষ ক্ষমা করবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy