নিজস্ব চিত্র
ছাদে উঠে দিশাহারা হয়ে পালানোর পথ খুঁজছে অভিযুক্ত। সিঁড়ি দিয়ে ছুটে তাড়া করেছেন পুলিশ অফিসারেরা। বুধবার রাতে গন্ডগোলের আভাস পেয়ে হঠাৎ জেগে উঠেছিল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কোটালঘোষ। যেন সিনেমার দৃশ্য।
তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত রফিক শেখের নাগাল পেতে মরিয়া পুলিশ অফিসাররা তখন তাড়া করেছেন বাড়ির ছাদে উঠে। চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টায় রফিক লাফ দিল পাশের বাড়ির ছাদে। পিছুধাওয়া করে লাফ দিলেন পুলিশকর্মীরাও। এমন করে তিনটি বাড়ির ছাদ টপকে পালাতে ব্যর্থ রফিককে যখন প্রায় নাগালে এনে ফেলেছেন পুলিশকর্মীরা, ঠিক তখনই পাশের পানাপুকুরে ঝাঁপ দিল সে। রাতের অন্ধকারে পুকুর থেকে তাকে ধরতে পারবে না পুলিশ, এমনই ভেবেছিল রফিক। লুকিয়ে ছিল কচুরিপানার আড়ালে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুকুর ঘিরে ফেললেন পুলিশকর্মীরা। কয়েক জন নেমে পড়লেন পুকুরে। টানতে টানতে তুললেন রফিককে। বিনিদ্র রজনীতে যেন হিন্দি সিনেমার অন্তিম দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইল কোটালঘোষ।
গত ১২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তৃণমূল নেতা অসীম দাস দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। ১৪ তারিখ অসীমকে খুনের অভিযোগে সাবুল শেখ ও সামু শেখকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। ১৬ জুলাই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে। তদন্তে নেমে বুধবার রাতে মঙ্গলকোটের কোটালঘোষ গ্রামের বাসিন্দা রফিক শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে নিজের বাড়ি থেকে নয়, কোটালঘোষ এলাকারই এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে।
বৃহস্পতিবার রফিককে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতকে সাত দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy