লালবাজারের লক আপে কংগ্রেস নেতাকর্মীরা নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির ‘প্রতিশোধমূলক রাজনীতি’ এবং দিল্লিতে পুলিশি ‘বর্বরতা’র প্রতিবাদে কংগ্রেসের রাজভবন অভিযান রাস্তাতেই আটকে দিল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল একশোর বেশি কংগ্রেস নেতা-কর্মীকে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে বেশ কিছু মহিলা-সহ দলের নেতা-কর্মীরা আহত হয়েছেন বলেও কংগ্রেসের অভিযোগ। বিজেপির ‘স্বৈরাচারে’র বিরোধিতায় এআইসিসি-র নির্দেশে আজ, বৃহস্পতিবারও ফের রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা ফের খুঁচিয়ে তুলে ইডি-কে কাজে লাগিয়ে রাহুল গান্ধীকে ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে, এই অভিযোগে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে চলছে কংগ্রেস। রাহুলকে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের তৃতীয় দিন, বুধবার দিল্লিতে এআইসিসি-র সদর দফতরেও হানা দেয় সেখানকার পুলিশ। এআইসিসি-র দফতরের বাইরে ধর্নায় বসেছিলেন লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং অন্যান্য নেতৃত্ব। তাঁদের আটক করে এআইসিসি-র দফতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর, নথিপত্র ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। এর পরেই আরও তেড়েফুঁড়ে রাস্তায় নামেন এ রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে জমায়েত করে কংগ্রেসের মিছিল রাজভবনের দিকে এগোতে গেলে মাঝপথে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তাতেই অবস্থানে বসে পড়েন কৃষ্ণা দেবনাথ, সুব্রতা দত্ত, কামারুজ্জামান কামার, তপন আগরওয়াল, তাপস মজুমদার, তুলসী মুখোপাধ্যায়-সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশ মারধর করে, টেনে-হিঁচড়ে সেখান থেকে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র, যুব নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি সুমন পাল, প্রদীপ প্রসাদদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। সন্ধ্যার পরে ছাড়া পান তাঁরা।
চলতি ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে সব রাজ্যেই রাজভবনের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস। সেইমতো আজও কলকাতায় রাজভবন অভিযান করার কথা কংগ্রেসের। পর দিন থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy