প্রতীকী ছবি
করোনা থেকে না হয় রেহাই মিলল। এখন ক্যান্সারের চিকিৎসার কী হবে? এই ভেবে ঘুম উবেছে মল্লারপুর থানার মহুরাপুর গ্রামের উর্মিলা দে-এর বাড়ির লোকজনের।
পরিবার সূত্রের খবর, ২২ এপ্রিল মুম্বই থেকে ক্যান্সারের চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরলে গ্রামের লোকেরা আপত্তি জানিয়েছিলেন। গ্রামবাসীর আপত্তির পরে স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ, প্রশাসনের উদ্যোগে মল্লারপুরে সরকারি নিভৃতবাসে ঠাঁই হয়েছিল মল্লারপুর থানার মহুরাপুর গ্রামের বছর পঞ্চাশের উর্মিলাদেবীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছেলে সুদর্শন, মেয়ে মঞ্জু দেবাংশি এবং বেয়াই পীযূষকান্তি মণ্ডল। ২৬ এপ্রিল উর্মিলাদেবী সহ চার জনের করোনা সন্দেহে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৩০ এপ্রিল উর্মিলাদেবী এবং তাঁর বোন মঞ্জু এবং বেয়াইয়ের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ছেলে সুদর্শনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। উর্মিলাদেবী সহ আক্রান্ত তিন জনকে দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। করোনা চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়িতেই আছেন ক্যান্সার আক্রান্ত উর্মিলাদেবী। এখন দরকার ক্যান্সারের নিয়মিত চিকিৎসা।
কিন্তু, এই সময় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানো উচিত কিনা তা নিয়ে ধন্দে আছেন উর্মিলাদেবী ও তাঁর পরিবার। প্রথমত, হাসপাতালে পৌঁছনোর সমস্যা অনেক। হাসপাতালে গিয়ে ফের কোরানা সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকছে। এ দিকে, এই মারণ রোগের চিকিৎসা না করাতে পারায় রোগীর অবস্থারও দিন দিন অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবার। ছেলে সুদর্শন জানান, মুম্বইয়ে মায়ের ৫ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়। এক, দেড় মাস পড়ে কেমোথেরাপি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে মুম্বই থেকে চলে আসতে হয়। এর পরে চার মাসের কাছাকাছি হয়ে গেলেও মায়ের কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন দেওয়া যায়নি। বর্তমানে কেমোথেরাপির পরিবর্তে ওরাল ট্যবলেট দেওয়া হয়। কিন্তু, রেডিয়েশন দেওয়ার জন্য হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তাতে একটা দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকতে হবে। থাকতে হবে পরিবারের কাউকেও। এখন এর সমাধান কী, জানা নেই পরিবারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy