E-Paper

বিদ্যুতের অভাবে চালু হয়নি সর্ষে-কল, শুনলেন কৃষি-কর্তা

জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক আদিত্য দুয়ারি জানান, ওই কেন্দ্রে খরা সহনশীল প্রজাতি-সহ বিভিন্ন প্রজাতির ধানবীজ তৈরির কাজ চলছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ ০৯:৫৩
Agricuture Experts at Joypur, Bankura

জয়পুর ব্লকের চৌকাডি গ্রামে কৃষি দফতরের বিশেষ সচিব। নিজস্ব চিত্র

চাষের সর্ষে ভাঙাতে গ্রাম থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথ উজিয়ে আড়শায় যেতে হয় ঝালদা ১ ব্লকের হেঁসাহাতু ও কলমা পঞ্চায়েত এলাকার চাষিদের। এলাকায় তাই সর্ষে ভাঙানোর কল গড়তে কৃষি দফতরে আবেদন জানানো হয়। পরে, এলাকায় কৃষি দফতরের সহায়তায় কল তৈরি হলেও বিদ্যুতের পরিকাঠামো না থাকায় সর্ষে ভাঙানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবার রাজ্য কৃষি দফতরের বিশেষ সচিব হৃষিকেশ মুদিকে কাছে পেয়ে দ্রুত কল চালুর আবেদন জানালেন এলাকার বাসিন্দারা।

সচিব বলেন, “হেঁসাহাতু ও কলমা এলাকার লাগোয়া দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায় দু’শো হেক্টরের বেশি জমিতে সর্ষে চাষ হয়। চাষিরা তা ভাঙিয়ে তেল তৈরি করেন ব্যবহারের জন্য। তবে তা ভাঙাতে দূরে আড়শায় যেতে হয় বলে কৃষি পরিকাঠামো সংক্রান্ত তহবিল থেকে এলাকায় সর্ষে ভাঙানোর কল গড়া হয়েছে। তবে বিদ্যুতের সংযোগ এখনও মেলেনি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বিষয়টি দেখা হবে যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়।

মঙ্গলবার বিকেলে হেঁসাহাতু পঞ্চায়েতের পাটুব গ্রামে যান কৃষি কৃষি সচিব। ঝালদা ১ ব্লক কৃষি আধিকারিক স্বরূপ পান্ডা জানান, সর্ষে ভাঙা কল গড়তে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার মধ্যে কৃষি দফতরের তরফে ভর্তুকি হিসেবে অর্ধেক অর্থ দেওয়া হয়েছে। চাষিরা কৃষি সচিবকে সর্ষে ভাঙানোর কলের সমস্যার কথা জানান। গ্রামে কল তৈরি হলেও প্রয়োজনীয় থ্রি ফেজ় বিদ্যুতের সংযোগ এখনও মেলেনি।

সোমবার জেলায় পরিদর্শনে এসেছেন বিশেষ কৃষি সচিব। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের কাজকর্ম পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলায় গ্রীষ্মকালীন ফসলের চাষ কেমন হচ্ছে, তা সরজমিনে দেখতে বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন করেন তিনি। হুড়া ব্লকের দেউলি গ্রামে একটি ধানবীজ তৈরির কেন্দ্রেও যান। জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক আদিত্য দুয়ারি জানান, ওই কেন্দ্রে খরা সহনশীল প্রজাতি-সহ বিভিন্ন প্রজাতির ধানবীজ তৈরির কাজ চলছে। এলাকার চাষিরাই তা করছেন। কৃষি পরিকাঠামো সংক্রান্ত তহবিল থেকে কাজটি হচ্ছে। ৩০০-৪০০ মেট্রিক টন বীজ তৈরি হবে, যা এ রাজ্যের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডেও পাঠানো হবে। তিনি বলেন, “কৃষি দফতরের বিশেষ সচিব জেলার বিভিন্ন ব্লকে স্বল্প সেচে গ্রীষ্মকালীন যে সমস্ত আনাজ ফলছে, তা এবং মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের কাজও পরিদর্শন করেছেন।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

joypur Mustard Cultivation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy