Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
TMC

Birbhum: বাড়িতে গিয়ে অনুব্রতের চিকিৎসা নিয়ে সঙ্ঘাতে সুপার-সভাধিপতি,নাম উঠল কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ অর্কর

অনুব্রতের বাড়িতে মেডিক্যাল দল পাঠানো নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী জানিয়ে দেন, তিনি যা করেছেন সব সুপারের নির্দেশে।

অনুব্রতের ‘চিকিৎসা-বিতর্ক’ অব্যাহত।

অনুব্রতের ‘চিকিৎসা-বিতর্ক’ অব্যাহত। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২২ ১১:৩২
Share: Save:

অনুব্রত মণ্ডল এখন সিবিআই হেফাজতে। তবে তাঁর বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল দল পাঠানো নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতির চিকিৎসার পর কার্যত বোমা ফাটান চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। জানান, নেতার ‘অনুরোধে’ সাদা কাগজে ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ লিখে দিয়েছিলেন। তিনি চাননি। কিন্তু হাসপাতালের সুপারের নির্দেশে অনুব্রতকে দেখতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। এর পর বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু দাবি করেন, অনুব্রতের বাড়িতে চিকিৎসক পাঠাতে তাঁকেও কেউ ‘বাধ্য’ করেছিলেন!

কে তিনি? বুদ্ধদেবের উত্তর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। এ দিকে বিকাশ এই ‘দায়’ ঠেলেছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আর এক জনের উপর। তাঁর দাবি, তিনি সুপারকে শুধু ‘ইনফর্মেশন’ (তথ্য) পৌঁছে দিয়েছিলেন। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারের দাবি, তাঁকে অনুব্রতের বাড়িতে চিকিৎসক পাঠাতে ‘প্রেসার’ (চাপ) দিয়েছিলেন বিকাশ। তাই তিনি বাধ্য হয়েছিলেন চিকিৎসক পাঠাতে। আর চন্দ্রনাথের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুপারের দাবি, “তাঁকে শুধু মাত্র আবেদন করেছিলাম। ইচ্ছা না হলে না-ও যেতে পারতেন।” সুপার জানান, বিকাশ তাঁকে বার বার ফোন করে চাপ দিতে থাকেন, যাতে অনুব্রতের বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানো হয়। এমনকি, অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা বলা হলেও তা ‘শোনা হয়নি’ বলে দাবি করেন।

আর সাদা কাগজে ‘প্রেসক্রিপশন’ লেখাটা? সুপারের দাবি, তাঁর মতো চন্দ্রনাথও ছুটিতে ছিলেন। তিনি বলেন, “উনি ছুটিতে ছিলেন। বাড়িতে দেখতে গেলে যে ভাবে সাদা কাগজে লিখতে বলা হয় প্রেসক্রিপশন, ঠিক সে ভাবেই আমি ওঁকে লিখতে বলেছিলাম।”

প্রথমে অবশ্য হাসপাতাল সুপার এই ‘চাপ’-এর কথা বলেননি। আগে তিনি জানিয়েছিলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে অনুব্রতের বাড়িতে চিকিৎসক পাঠিয়েছিলেন। সেই বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন তিনি। অন্য দিকে, তৃণমূল জেলা সভাধিপতির দাবি ভিন্ন। বিকাশের কথায়, “আমি সুপারকে শুধু ইনফর্মেশন পৌঁছে দিয়েছিলাম। আমাকে অনুব্রতের বাড়ি থেকে অর্ক দত্ত ফোন করেছিলেন। সেই মতো আমি সুপারকে জানিয়েছিলাম। তার পর উনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমি কোনও জোর করিনি।” উল্লেখ্য, অনুব্রতের বিশেষ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্ক এখন সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। তাঁর উপরেই চিকিৎসক পাঠানোর ‘দায়’ চাপালেন তৃণমূল জেলা সভাধিপতি।

আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE