আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরে স্বাস্থ্যব্যবস্থার অজস্র ফাঁক বেআব্রু হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকদের আন্দোলন থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবি উঠেছিল। এক বছর পরে দেখা যাচ্ছে, সে সব দাবির কিছু পূরণ হলেও অনেকগুলিই পূরণ হয়নি। কয়েকটি ক্ষেত্রে ‘নীতিগত ভাবে’ বিভিন্ন ব্যবস্থা চালু হলেও সর্বত্র তার বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন ও সংশয় রয়েছে।
উল্লেখ্য, কী কী দাবি পূরণ হল, আর কী কী এখনও হল না, সে বিষয়ে জানার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইলে পাঠানো বার্তারও কোনও জবাব দেননি।
আরও পড়ুন:
-
দু’টি বাড়ির মধ্যে দূরত্ব বড়জোর ২৫ কিলোমিটার, বছর ঘুরে গেল, আরজি কর-কাণ্ডে দুই পরিবারের জীবন কি বদলে গেল ৩৬৫ দিনে?
-
কেউ চিকিৎসক থেকে নেতা, কেউ রাত দখলের হোতা, কেউ ‘বিচিত্রবীর্য’! বছর ঘুরে গিয়েছে, এখন তাঁরা কে কোথায়?
-
‘সোমা বলছি’ থেকে ‘১৫০ গ্রাম বীর্য’! গুজব এবং মিথ্যাচারের কানাগলিই কি পথভ্রষ্ট করেছিল আরজি কর আন্দোলনকে?
আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় ভাবে ‘রেফারেল সিস্টেম’ চালু করতে হবে। যাতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগীকে স্থানান্তরিত করলে তাঁকে বা তাঁর পরিজনদের দুর্ভোগের শিকার না-হতে হয়। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, ‘রেফারেল সিস্টেম’ চালু হলেও সর্বত্র সেই ব্যবস্থা অনুসৃত হচ্ছে না। কোথাও নিজেদের মধ্যে মৌখিক ভাবে কথা বলে নিয়ে রোগীকে স্থানান্তরিত করা চলছে। আবার কোথাও অনুসৃত হচ্ছে কোভিডকালের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন:
-
জেলে কী ভাবে দিনরাত কাটছে আরজি করে ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের? খবর নিয়ে এল আনন্দবাজার ডট কম
-
প্যানিক বাটন থেকে সিসিটিভি, এক বছর পর কেমন নিরাপত্তা পরিস্থিতি? হাসপাতালগুলির চাহিদা কতটা মিটল, কতটাই বা বাকি?
-
এক বছর আগে তিন দলের তিন প্রতিনিধি পৌঁছেছিলেন আরজি করে, বছর ঘোরার পর কী মনে হচ্ছে? লিখলেন তাঁরাই
আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। দেশের শীর্ষ আদালতও হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো, চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ, লিঙ্গ-নিরপেক্ষ বিশ্রামকক্ষ, শৌচাগার তৈরির মতো একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল। নিরাপত্তার প্রশ্নে তার অনেকগুলিই কার্যকর হয়েছে। আবার সর্বত্র যে তা সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে, তা-ও নয়। আন্দোলনকারীদের তরফে যে ১১টি মূল দাবি তোলা হয়েছিল, এক বছর পরে তার কী কী এবং কতটা বাস্তবায়িত হল বা কতটা হয়নি, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
(তথ্য: সারমিন বেগম এবং শোভন চক্রবর্তী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ)