সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন জন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অফিসারদের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। মঙ্গলবার ভোরে উত্তর ২৪ পরগনার কানমারি এবং সরবেড়িয়া এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আনারুল মোল্লা, আজিজুল শেখ এবং হাজিনুর শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জন গ্রেফতার হয়েছেন। এ দিকে হামলার ১১ দিন পরেও প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ অধরা।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, রেশন দু্র্নীতিকাণ্ডের সূত্র ধরে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল তারা। সেখানে তারা বিক্ষোভের মুখে পড়ে। গ্রামবাসীদের হাতে বেধড়ক মার খাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এক জনের চোট ছিল গুরুতর। ওই দিন বাড়িতে গিয়ে যদিও শাহজাহানের দেখা মেলেনি। ইডির দাবি, শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন ৮০০ থেকে ১০০০ লোক। সকলেই তৃণমূল নেতার ‘অনুগামী’। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়।
আরও পড়ুন:
ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের খোঁজ মেলেনি। ইডির দাবি, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ইডি আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শাহজাহান। আইনজীবী মারফত শাহজাহান হাই কোর্টকে জানান, তিনি সন্দেশখালির মামলায় যুক্ত হতে চান। কারণ, তিনি চান এই ঘটনায় তাঁর বক্তব্যও শোনা হোক। তার পরের দিন ইডির উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হলেন আরও দু’জন। এর আগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গত বৃহস্পতিবার ভোরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার পর রবিবার মিনাখাঁর খড়িবেরিয়া এবং ন্যাজাট থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।