প্রতীকী ছবি।
সোমবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের নওদায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য। নিহতের নাম নিমাই মণ্ডল (৫৫)। তিনি নওদার বালি ১ পঞ্চায়েত সদস্য এবং বালি ১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন।
এ দিনই রাতে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গুলি চলল মধ্যমগ্রামের কদমতলা বাজার এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূলের যুব নেতা বিনোদ সিংহ (রিঙ্কু)। আহত হয়েছেন দীপক বসু নামে আরও এক তৃণমূলকর্মী।
নওদার তৃণমূল কর্মীদের দাবি, নিমাইবাবু টুঙ্গি গ্রামের দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে। কংগ্রেস এবং বিজেপি হাত মিলিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। জেলা তৃণমুল কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের খানের অভিযোগ, ‘‘কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এটা করেছে।’’ কংগ্রেস নেতা সুনীল মণ্ডল বলছেন, ‘‘কংগ্রেস এর সঙ্গে জড়িত নয়। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা। কংগ্রেসের উপরে দায় চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
মধ্যমগ্রামের ঘটনায় রাখাল নন্দী নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাখাল শাসক দলের সঙ্গেই যুক্ত। সোমবার রাত আটটা নাগাদ মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কার্যালয়ে বসেছিলেন বিনোদ। আচমকা ২২-২৫ বছরের পাঁচ-ছ’জন যুবক সেখানে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। পরে বোমাবাজি করতে করতে চলে যায়। বিনোদকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল অবধি দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার ২ নম্বর ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত। রবিবার রাতে নাগুরহাটে যুব তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে মহিষকুচিতে ভাঙচুর হয় তৃণমূল কর্মীর বাড়ি। প্রতিটি ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছে বিজেপির। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, নাককাটিগছে তাদের বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা মারা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy