গত কয়েক মাস ধরে বিস্তর পরিকল্পনা করেছিলেন। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না! রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়ে গেলেন খোদ গৃহকর্ত্রীই! সঙ্গে ওই বধূর এক আত্মীয়কেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হবে।
আরও পড়ুন:
বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা সোনালি বিশ্বাস। অভিযোগকারীর দাবি ছিল, সোমবার রাতে তাঁর ঘর থেকে সোনার গয়না লুট হয়েছে। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অনেক দিন আগেই সোনার গয়নাগুলি বিক্রি করে দিয়েছেন সোনালি। এর পরেই শুরু হয় জল্পনা, তবে কি লুটের ঘটনা সাজানো? মঙ্গলবার সকালে ওই মহিলাকে আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এর পরেই তাঁদের সন্দেহ হয়, ‘চুরি’ ঢাকতেই সাজানো হয়েছে ডাকাতির ঘটনা! মহিলার বয়ানেও একাধিক অসঙ্গতি ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ ধরে নেয়, বাড়ি থেকে গয়না লুটের গোটা গল্পটি ফেঁদেছিলেন অভিযোগকারিণী নিজেই। জেরার মুখে সে কথা স্বীকারও করে নেন গৃহকর্ত্রী। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর এক আত্মীয় রাজা নাগকে। দু’জনে মিলে কোথায় কোথায় গয়নাগুলি বিক্রি করেছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:
রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার রানিকুঠি মোড়ে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন বছর পঁয়তাল্লিশের সোনালি। অভিযোগ, সোমবার বিকেলে পাশেই মা-বাবার কাছে গিয়েছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় ফিরে বাড়িতে ঢুকতে যেতেই মুখ ঢাকা দুই যুবক তাঁকে ছুরি দেখিয়ে জোর করে ঘরে ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, এর পরে মহিলার হাত বেঁধে তাঁকে অজ্ঞান করে গয়না নিয়ে পালান দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে শুরু করে পুলিশ। তাতে দেখা যায়, সোমবার ওই সময়ে বাইরের কেউই ওই আবাসনে ঢোকেননি। তা ছাড়া, মহিলার বয়ানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।