উত্তুরে হাওয়ার দাপট চলবে। ছবি: পিটিআই
জাঁকিয়ে আর ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বিদায়বেলায় যেন ভেল্কি দেখিয়ে ‘সাপ-লুডো’ খেলায় মেতেছে শীত। কখনও তরতরিয়ে ‘মই’ বেয়ে উঠছে পারদ। কখনও আবার ঝুপ করে ‘সাপ’-এর মুখে পড়ে পতন!
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিতে ঠান্ডা ফিরছে দু’তিন দিনের ব্যবধানে। দু’দিন আগেও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রির ঘরে। বৃহস্পতিবার একেবারে ৩ ডিগ্রি কমে ১৩-র ঘরে পৌঁছে গিয়েছে পারদ। যা স্বাভাবিকের থেকে আবার ২ ডিগ্রি কম। তার আগে, পৌষের শেষে এক ঝটকায় ১৯ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায় তাপমাত্রা। কিন্তু মাঘের শুরুতে ফের শীতের প্রত্যাবর্তন ঘটে।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় দিনের বেলায় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সকালের দিকে ভালই ঠান্ডা মালুম হচ্ছে শহর জুড়ে। উত্তুরে হাওয়ারও দাপট রয়েছে। শুক্রবার আরও নামবে পারদ। কিন্তু শনিবার ফের কিছুটা চড়তে পারে। তার পর আবার পারদ পতন!
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এখনই শীত বিদায়ের সম্ভাবনা নেই। উত্তুরে হাওয়ার দাপট রয়েছে। ধীরে ধীরে শীতের প্রভাবও কমবে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কিন্তু তার পর অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারির পর থেকে ফের তাপমাত্রা নিম্নমুখী হবে। ফ্রেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও ঠান্ডা বজায় থাকবে দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। প্রধানত মেঘলা আকাশ থাকবে। আগামী দু’তিন উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশা থাকবে। ফলে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমবে। দক্ষিণবঙ্গে হালকা কুয়াশা থাকলেও বেলার দিকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, কখনও সাগর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকে যাচ্ছে। কখনও আবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব। ফলে আবহাওয়া পরিবর্তিত হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.২ ডিগ্রি, কালিম্পং ৬, শিলিগুড়ি ৭.২, জলপাইগুড়ি-শ্রীনিকেতন-পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy