১৫ জানুয়ারি কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিমানটি। — ফাইল ছবি।
ইঞ্জিনে গোলযোগের কারণেই গত ১৫ জানুয়ারি ভেঙে পড়েছিল নেপালের বিমান। ইয়েতি এয়ারলাইনস সংস্থার বিমানটির ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করে এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, এটিআর-৭২ বিমানটির ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের নথি বলছে ইঞ্জিনের সমস্যা ছিল।
গত ১৫ জানুয়ারি কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিমানটি। উড়ানের ২০ মিনিট পর হয় দুর্ঘটনা। অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে সেতি নদীর ধারে একটি খাদে পড়ে যায় বিমানটি। পড়ে যাওয়ার বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেগুলি তুলেছিলেন স্থানীয়রা।
দু্র্ঘটনায় বিমানের এক জনও বাঁচেননি। মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। ৬৮ জন যাত্রীর মধ্যে পাঁচ জন ভারতীয়, চার জন রুশ, এক জন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। বিশেষ কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৪৫ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরের দিনই উদ্ধার হয়েছিল বিমানের ব্ল্যাক বক্স। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও পরে নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানায়, আকাশ পরিষ্কারই ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। পোখরার যে বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা ছিল, সেটি সপ্তাহ কয়েক আগে উদ্বোধন করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy