‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’ তছনছ করে দিয়েছে ইরানের অন্তত ছ’টি পরমাণু ও সামরিক কেন্দ্র। দু’শো বোমারু ও যু্দ্ধবিমানের বহর নিখুঁত ভাবে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিরাপদে ফিরেও গিয়েছে। কিন্তু আশঙ্কা কাটছে না ইজ়রায়েলের। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের আশঙ্কা বিমানহানার ‘জবাব’ দিতে নিশানা করা হতে পারে বিভিন্ন দেশের ইজ়রায়েল দূতাবাসগুলিকে।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ইজ়রায়েলি বিদেশ মন্ত্রক বিশ্ব জুড়ে তাদের সমস্ত দূতাবাস, কনস্যুলেট এবং অন্য কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে। এর পাশাপাশি, বিদেশে বসবাসকারী এবং ভ্রমণে যাওয়া ইজ়রায়েলি নাগরিকদের উদ্দেশে বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি কোনও অবস্থাতেই ইহুদি বা ইজ়রায়েলি প্রতীক প্রকাশ্যে বহন না করার নির্দেশ দিয়েছে তেল আভিভ।
সেই সঙ্গে অবিলম্বে বিদেশে থাকা ইজ়রায়েলি নাগরিকদের ‘অবস্থান’ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইজ়রায়েলি বিদেশ দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ইজ়রায়েল তার বৈদেশিক মিশনগুলি সাময়িক ভাবে বন্ধ করছে। কূটনৈতিক (কনস্যুলার) পরিষেবার কাজও আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলি কত দিন বন্ধ থাকবে— সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি ইজ়রায়েলি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।
সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলার জেরে পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপে ইজরায়েলি দূতাবাসে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ করেছে নেতানিয়াহু সরকার। এ ছাড়া কূটনীতিক এবং দূতাবাসে যাতায়াতকারী নাগরিকদের নিরাপত্তাও এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ।