মাস দু’য়েক আগেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নেওয়া সুন্নি জিহাদিদের নতুন সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেনা ইসলামি জঙ্গিনেতাদের খোঁজে এ বার হানা দিল সিরিয়ায়।
নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত খবরে দাবি, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর একটি গোপন ডেরায় স্থল অভিযান (গ্রাউন্ড অপারেশন) চালানো হয়। অভিযানে নিহত হয়েছেন, আইএসের এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার। তিনি সিরিয়ায় সংগঠনের তহবিল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন। চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সিরিয়ার মাটিতে নেমে সন্ত্রাসবাদী নিধনের উদ্দেশ্যে অভিযান চালাল পেন্টাগন। প্রকাশিত খবরে দাবি, রাতের অন্ধকারে হেলিকপ্টারে গিয়ে সেনা কমান্ডোরা ওই অভিযান চালান।
আরও পড়ুন:
গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর রাজধানী দামাস্কাস দখল এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটেছিল। আসাদ সপরিবার পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন মিত্র দেশ রাশিয়ায়। সেই গৃহযুদ্ধে আসাদ বিরোধী বাহিনীতে আইএস সন্ত্রাসবাদীদের একাংশ শামিল ছিলেন বলে অভিযোগ। অথচ এইচটিএস বাহিনীকে ধারাবাহিক মদত দিয়েছিল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোগানের সরকার। জুলাই মাসের গোড়ায় সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা কুর্দের আবেদন মেনে প্রাক্তন জঙ্গিদের সরকারি সেনার অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন ট্রাম্প স্বয়ং।