ইরান-ইজ়রায়েলের সংঘাতে আমেরিকা যোগ দেবে কি না, জানা যাবে আর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই! বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন ইজ়রায়েলের এক কর্তা। তবে তাঁদের তরফে আমেরিকার উপর কোনও রকম চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই।
ইজ়রায়েল সরকারের এক কর্তা নাম প্রকাশ না-করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইম্স অফ ইজ়রায়েলকে বলেছেন, ‘‘ইরানের পরমাণু গবেষণার বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের হামলায় আমেরিকাও যোগ দেবে বলে আমরা আশা রাখছি। কিন্তু ওদের কোনও চাপ দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে ওদের নিজেদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটা আমরা জানতে পারব।’’
আরও পড়ুন:
বস্তুত, ইরান এবং ইজ়রায়েলের সংঘাতে প্রথম থেকেই ইজ়রায়েলকে সমর্থন করেছে আমেরিকা। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলেই নেতানিয়াহু ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেন। কিন্তু আমেরিকা সরাসরি এই যুদ্ধে যোগ দেয়নি। এ নিয়ে ট্রাম্প সরাসরি মন্তব্য না-করলেও নিজের বক্তব্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি অপেক্ষা করতে চাইছেন। তাঁর কথায়, “আমি কোনও কিছু চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এক সেকেন্ড আগে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি। বিশেষ করে যুদ্ধের ক্ষেত্রে, সংঘর্ষের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে থাকে। একটি অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত একটি অবস্থানেও বিষয়টি চলে যেতে পারে।” বুধবারও এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি করতেও পারি, আবার না-ও করতে পারি। আমি কী করতে চলেছি, তা কেউই জানে না।’’
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল আমেরিকার। এ বিষয়ে ইরান তাদের অবস্থানে অনড় ছিল। তার মাঝেই আচমকা গত শুক্রবার ইজ়রায়েল থেকে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। তাতে প্রাণ যায় ইরানের সেনাবাহিনীর চার শীর্ষকর্তা এবং ন’জন পরমাণু বিজ্ঞানীর। প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়ে এর পর পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে তেহরানও। তাদের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইজ়রায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে। বৃহস্পতিবারও ইজ়রায়েলের সোরোকা হাসপাতালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বলে অভিযোগ। যদিও ইরান জানায়, তাদের কোনও হামলার লক্ষ্য কখনওই হাসপাতাল নয়। যেখান থেকে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হচ্ছে, কেবল সেই ঘাঁটিগুলিকেই পাল্টা নিশানা করছে ইরানের বাহিনী।