কৃত্রিম মেধার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছেন না বা কৃত্রিম মেধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কী ভাবে কাজ করতে হবে তা শিখতে পারছেন না, এমন কর্মীদের ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল বহুজাতিক কনসালটেন্সি সংস্থা অ্যাকসেনচার। ক্রমবর্ধমান কৃত্রিম মেধা-চালিত বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংস্থা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা হিসাবে অ্যাকসেনচার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে, অ্যাকসেনচারের পুনর্গঠন পরিকল্পনার দুটি অংশ রয়েছে। এক, কৃত্রিম মেধার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছেন না বা কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত দক্ষতা অর্জন করতে পারছেন না, এমন কর্মীদের ছাঁটাই করা এবং সে জায়গায় প্রয়োজনীয় দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ করা। দুই, সংস্থার এমন কিছু বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া, যা সংস্থার উন্নতির পথে অন্তরায়।
বিশ্বের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) জুলি সুইট বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমরা কী বিক্রি করি, কী ভাবে তা সরবরাহ করি, কী ভাবে অংশীদারদের নিয়ে চলি এবং কী ভাবে সংস্থা চালাই, এই সব কিছুতে বদল আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের অংশীদারি প্রসারিত করেছি। উদ্ভাবন দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করছি। এটা আমাদের প্রাথমিক কৌশল।’’ জুলি আরও বলেন, ‘‘আমরা একটি সঙ্কুচিত সময়সীমার মধ্যে এমন কর্মীদের ছেঁটে ফেলছি যাঁদের কাছে আমাদের যে দক্ষতা প্রয়োজন, তা নেই।”
আরও পড়ুন:
বিশেষজ্ঞদের মতে অ্যাকসেনচারের সিইও-র ‘সঙ্কুচিত সময়সীমা’ কথাটি ইঙ্গিতপূর্ণ। এর অর্থ, সংস্থা দীর্ঘ ছাঁটাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে চাইছে না। যাঁদের দক্ষতা অর্জনের সম্ভাবনা কম, তাঁদের দ্রুত সংস্থা থেকে ছেঁটে ফেলতে চাইছে অ্যাকসেনচার।
ছাঁটাই প্রসঙ্গে সংস্থার সিএফও (চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার) অ্যাঞ্জি পার্ক জানান, বিষয়টি ‘বিজ়নেস অপ্টিমাইজ়েশন প্রোগ্রাম’-এর অংশ। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, কর্মীদের কাজে লাগছে কি না, তার সঙ্গে ছাঁটাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। সিদ্ধান্তটি কৌশলগত। যাঁরা দক্ষ নন এবং যাঁদের আর দক্ষ করে তোলা সম্ভব নয়, তাঁদেরই ছাঁটাই করা হবে।
চলতি বছরের ৩১ অগস্টের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে অ্যাকসেনচারের মোট কর্মীসংখ্যা ৭ লক্ষ ৭৯ হাজার। কিন্তু তার তিন মাস আগেও কর্মীসংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৯১ হাজার। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে তিন মাস ধরে ১১ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে সংস্থাটি। তার মধ্যেই আবার সংস্থার পুনর্গঠন পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা।