সাবা খাতুন। (ডান দিকে) এ ভাবেই বস্তায় উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ।
সিমেন্টের বস্তায় মোড়া এক তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল একবালপুরে। বৃহস্পতিবার সকালে একবালপুর থানা এলাকার মহম্মদ আলি রোড থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সকালে একটি সিমেন্টের বস্তা পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। সেটি খুলতেই হকচকিয়ে যান তাঁরা। ভিতরে ছিল হাত-পা মোড়া অবস্থায় এক তরুণীর দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই একবালপুর থানায় খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ওই তরুণীর দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর নাম সাবা খাতুন। বয়স ২০ বছর। তিনি ওয়াটগঞ্জে দিদার কাছে থাকতেন। তবে গত দু'মাস ধরে ওয়ারিশ লেনে রেশমা নামে এক বন্ধুর বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকছিলেন তিনি। ঘটনার আগের দিন, অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তার পরই তিনি বেরিয়ে যান। পরে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বাড়ির লোকেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পর দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
নিহত তরুণীর মোবাইল ফোনের হদিস এখনও মেলেনি। কে বা কারা তাঁকে খুন করে ব্যস্ত এলাকায় এ ভাবে ফেলে দিয়ে গেল, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রেমঘটিত কোনও কারণে তাঁকে খুন হতে হল কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সম্পর্কজনিত কারণে ওই খুন হলেও হয়ে থাকতে পারে। বস্তুত, যে ভাবে ওই তরুণীকে খুন করে দেহটি সিমেন্টের বস্তায় ভরে ফেলে যাওয়া হয়েছে, তাতে প্রতিহিংসার বশে ওই খুন হয়ে থাকতে বলেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এ সবই এখনও তদন্তসাপেক্ষ। আপাতত দেহটি ময়নাতদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সাবার পরিবারের লোকজনকেও খবর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে ‘খুন’, অভিযুক্ত শ্যালক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy