সাবা খাতুন। (ডান দিকে) এ ভাবেই বস্তায় উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ।
একবালপুলে তরুণী খুনের ঘটনায় রোহিত ওরফে মহম্মদ সাজিদ হোসেন এবং তার স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার ভোর রাতে ডেন্ট মিশন রোড এবং ডক্টর সুধীর বসু রোডের সংযোগস্থল থেকে সাজিদকে গ্রেফতার করা হয়। অঞ্জুমকে গ্রেফতার করা হয় রবিবার সকালে।
সম্প্রতি সাজিদের বাড়ির সামনের ফুটপাতে সাবা খান নামে এক তরুণীর বস্তা বন্দি দেহ উদ্ধার হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, সাজিদের সঙ্গে সাবার প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল। সাবা তাকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। এই নিয়েই গণ্ডগোল বাধে। সে কারণেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে, তার সঙ্গে আরও একটি বিষয় ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। একটি মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে, নিহত তরুণী মাদক কারবারিদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ওই এলাকায় এক বান্ধবীর বাড়িতে থাকতেন। এমনও শোনা যাচ্ছে, সেই বান্ধবী ও তাঁর মা-ও মাদক কারবারিদের সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারীরা এই সব দিকও খতিয়ে দেখছেন।
বুধবার গভীর রাতে একবালপুর থানার এমএম আলি লেনে সাজিদের বাড়ির সামনের ফুটপাতে মেলে সাবার বস্তাবন্দি দেহ। তাঁর ডান হাতে সিগারেটের ছেঁকার দাগ এবং পায়ে নখের আঁচড় পাওয়া গিয়েছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে আসে, সাবাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার বিষয়টি। কিন্তু খুন করার পরে কে বা কারা বস্তাবন্দি দেহ ৭ এফ, এমএম আলি লেনের ফুটপাতে ফেলে গেল, তা নিয়ে তদন্ত করছিল পুলিশ। ওই এলাকার সিসি ক্যামেরা খারাপ থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় তদন্তকারীদের। তবে প্রথম থেকে পুলিশের সন্দেহ ছিল স্থানীয় কেউই এই কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতী সিংহের পর মাদককাণ্ডে গ্রেফতার তাঁর স্বামীও
সাবার মোবাইলের কল লিস্ট ঘেঁটে পুলিশ সাজিদ এবং ইমরান নামে দুই যুবককে ধরে জেরা করতে শুরু করেছিল। জেরায় সাজিদ খুনের কথা স্বীকার করে। যদিও কী ভাবে ওই তরুণীকে খুন করা হল, তার এখনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy