মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান, সৌরজগতের যমজ ব্রহ্মাণ্ডের কথা জানিয়েছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তাঁদের সাহায্য করেছিলেন স্পেস টেকনোলজিস্টরা বা প্রযুক্তিবিদেরা। প্রতিটি মহাকাশযাত্রার নেপথ্য কারিগর তাঁরাই। মহাকাশের রহস্য ভেদ করতে চায় কিংবা সেই সংক্রান্ত প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়, এমন খুদে পড়ুয়ার সংখ্যা কম নয়। স্কুলের পর্ব মিটতে না মিটতেই কী ভাবে শুরু হবে প্রস্তুতি? রইল সুলুক সন্ধান—
দ্বাদশে থাকা চাই বিজ্ঞান:
মহাকাশ নিয়ে কাজ করতে আগ্রহীদের অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা আর রসায়নে দক্ষ হতেই হবে। বিজ্ঞান বিভাগে দ্বাদশ উত্তীর্ণ হতে পারলেই প্রথম ধাপ শুরু।
প্রবেশিকায় ভাল ফল:
উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পাশ করার পর আরও কিছু প্রবেশিকা দিতে হবে পড়ুয়াদের। কারণ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি) কিংবা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-তে ভর্তি হওয়ার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন, অ্যাডভান্সড বা ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। ভাল স্কোর থাকলে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, এভিওনিক্স/এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
উচ্চশিক্ষার সুযোগ:
মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স-এর মতো বিষয় নিয়ে পড়েও স্পেস টেকনোলজি নিয়ে এগোনো সম্ভব। ওই বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর স্পেস টেকনোলজি, অ্যাস্ট্রোফিজ়িক্স, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে পড়াশোনা করা যায়।
কোথায় কোথায় পড়ানো হয়?
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আইআইটি খড়্গপুর, বোম্বে, মাদ্রাজ এবং কানপুর; ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এর স্পেস টেকনোলজি কিংবা সমতুল বিষয়গুলি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ানো হয়ে থাকে।
খরচ কেমন?
সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১ লক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা কোর্স ফি হিসাবে খরচ হয়ে থাকে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা কোর্স ফি হিসাবে চাওয়া হয়। এ ছাড়াও ইসরো, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও), ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডিএসটি) মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে থাকে।
কাজের সুযোগ:
স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ার, মিশন কন্ট্রোল স্পেশ্যালিস্ট, প্রোপালশন ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাস্ট্রোফিজ়িসিস্ট, স্পেস সায়েন্টিস্ট, রিমোট সেন্সিং অ্যানালিস্ট, রিসার্চ সায়েটিস্ট— একাধিক পদে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর যোগ্যতাসম্পন্নদের কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। শুরুতে বছরে ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বেতন দেওয়া হয়। পরে তা ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সুযোগ থাকে। দেশের সরকারি সংস্থা তো বটেই, আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও নবীন স্নাতকদের চাহিদা থাকে যথেষ্ট।