যাঁরা নিরামিষাশী, তাঁদের প্রতি দিনের খাবারে প্রোটিনের খাটতি মেটাতে পনিরের ব্যবহার লক্ষণীয়। তবে গত কয়েক বছরে ডায়েটে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। দুধ থেকে তৈরি হয় পনির। সেখানে সয়াবিন থেকে তৈরি হয় টোফু। পনিরের মতো বাজারে এখন টোফুও লভ্য। উভয়ের রংও সাদা। স্বাদও প্রায় কাছাকাছি। কিন্তু পনির এবং টোফুর মধ্যে স্বাস্থ্যগুণ কার বেশি?
আরও পড়ুন:
পনির বনাম টোফু
১) দুধ থেকে ছানা কেটে তৈরি হয় পনির। অন্য দিকে সয়াবিনের দুধ থেকে তৈরি করা হয় টোফু। অনেক সময়েই পনিরের তুলনায় টোফু খেতে নরম মনে হতে পারে।
২) সমপরিমাণ পনির এবং টোফুর মধ্যে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে বেশি থাকে।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও টোফু সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম পনিরের মধ্যে প্রায় ২৬৫ কিলোক্যালোরি সঞ্চিত থাকে। অন্য দিকে, ১০০ গ্রাম টোফুর মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ ৭৬।
৪) টোফুর তুলনায় পনিরের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণও অনেকটাই বেশি থাকে। ১০০ গ্রাম তাজা পনিরের মধ্যে প্রায় ২০ গ্রাম ফ্যাট থাকে। অন্য দিকে ওই একই পরিমাণ টোফুর মধ্যে ফ্যাট থাকে মাত্র ৪ গ্রাম।
৫) দুধ থেকে তৈরি হয় বলে পনিরের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রাও অনেকটাই বেশি থাকে। তুলনায়, টোফুর মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা নগণ্য।
কোনটি ভাল
পনির এবং টোফু, উভয়েই স্বাস্থ্যকর। টোফুর মধ্যে পুষ্টিগুণ তুলনামূলক ভাবে বেশি। আবার দুধ থেকে তৈরি হয় বলে পনিরের মধ্যে ক্যালশিয়ামের মাত্রাও যথেষ্ট বেশি থাকে, যা অস্থির শক্তিবৃদ্ধি করে। তবে এখনও পনিরের মতো সর্বত্র টোফু জনপ্রিয় হয়নি। পনিরের মতো সর্বত্র সহজলভ্যও নয় টোফু। আগামী দিনে কোনটির চাহিদা বাড়বে, তা অবশ্য এখনও অজানা।