দিনভর পরিশ্রমের পরেও রাতে শুয়ে ঘুম আসতে চায় না অনেকেরই। এর কারণ যে কেবল অনিদ্রা তা নয়। পাহাড়প্রমাণ দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগও ঘুম নষ্ট করার জন্য দায়ী। তা ছাড়া রাতে বিছানায় শুয়ে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটিও একটি কারণ। রাতে যদি ঠিকমতো ঘুম না হয়, তা হলে পরের দিন সকাল থেকেই ঘিরে ধরে একরাশ ক্লান্তি। আরও বাড়ে মানসিক চাপ। দেখা দেয় হজমের গোলমাল। বাড়ে মেদও। এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে মাত্র ১ মিনিটের একটি যোগাসন। শিখিয়ে দিলেন অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী।
পঞ্চাশের চৌকাঠ পার করেছেন অনেক আগেই। তবে তাতে সৌন্দর্যে প্রভাব পড়েনি। বরং এখনও ফিট ষাট ছুঁইছুঁই অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। রীতিমতো ‘ফিটনেস ফ্রিক’ তিনি। তাঁর শরীরচর্চার রুটিন থেকে ডায়েট— সবই ভাগ করে নেন সমাজমাধ্যমে। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে অনিদ্রা দূর করার ও দুশ্চিন্তা কমানোর এক বিশেষ উপায়ের কথা জানিয়েছেন ভাগ্যশ্রী। বলেছেন, রোজ রাতে শোয়ার আগে নিয়ম মেনে স্ট্রেচিং করেন তিনি। এর উপকারিতা অনেক। স্ট্রেচিং করলে পেশির নমনীয়তা বাড়ে, অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরে যায়। নিয়মিত স্ট্রেচিং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে ক্লান্তি, শারীরিক অস্বস্তি দূর হয়। ‘হ্যাপি হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়ে, যাতে মনের চাপ, দুশ্চিন্তা কমতে থাকে।
আরও পড়ুন:
কী ধরনের স্ট্রেচিং শেখালেন ভাগ্যশ্রী?
তিনি যে ব্যায়ামটি দেখিয়েছেন, যোগাসনে তার নাম অঞ্জনেয়াসন। এই আসনের ভঙ্গি দেখতে অনেকটা ত্রয়োদশীর চাঁদের মতো, তাই অনেকে এই আসনকে ‘ক্রিসেন্ট মুন পোজ়’ নামেও চেনেন। আবার অনেকের কাছে এটিই ‘লো লাঞ্জ পোজ়’ নামে পরিচিত। এই আসনে প্রথমে ডান হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করে শরীরকে মাটির কাছাকাছি নিয়ে আসতে হবে। ডান পায়ের পাতা থাকবে মাটিতে। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বাঁ পা প্রসারিত করতে হবে পিছন দিকে। শ্বাস নিতে নিতে দু’হাত মাথার উপরের দিকে তুলতে হবে। শরীরের উপরিভাগ যতটা সম্ভব হেলিয়ে দিতে হবে পিছনের দিকে। এই অবস্থানে থাকতে হবে ৩০ সেকেন্ড। তার পর অন্য পায়ে একই ভাবে করতে হবে আরও ৩০ সেকেন্ড। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হবে স্বাভাবিক ভাবেই।
অঞ্জনেয়াসন। ছবি: ফ্রিপিক।
এই আসনটি একাগ্রতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। উদ্বেগ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সায়াটিকা স্নায়ুর ব্যথা উপশম করে। মেরুদণ্ডের নমনীয়তা রক্ষা করে। দেহের নিম্নাংশ সচল রাখতে এবং পেশিগুলি মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এমনকি, মহিলাদের ঋতুচক্রজনিত নানা সমস্যার সমাধানও করতে পারে।