Advertisement
E-Paper

বাঙালির রোজের পাতের কিছু মাছেই ডায়াবিটিস প্রতিরোধে দিশা, ভাল থাকবে হার্টও, জানাচ্ছে গবেষণা

রোজের পাতে ১০০-১৭৫ গ্রাম মাছ রাখলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমবে। গবেষণা বলছে, নদীর মাছ হোক বা সামুদ্রিক মাছ, রোজের পাতে এক টুকরো থাকলেই ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ১৪:৪৯
Can Fishes control blood sugar level, how this is possible

বাঙালির মাছ-ভাতেই রোগমুক্তির দিশা পেলেন গবেষকেরা। ছবি: ফ্রিপিক।

বাঙালির মাছের ঝোল ভাতেই ভাল থাকবে হার্ট। বিদায় নেবে খারাপ কোলেস্টেরল। এমনকি ডায়াবিটিস প্রতিরোধেও কাজে আসবে মাছই। কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। এক টুকরো মাছ না হলে বাঙালির ঠিক মন ভরে না। রুই মাছের তেল ঝাল হোক থেকে কাতলার কালিয়া, সর্ষে পাবদা— মাছের হরেক রকম পদ বেশ রসিয়েই রাঁধা হয় বাঙালির হেঁশেলে। আর এই মাছেই বেশ কিছু রোগমুক্তির দিশা দেখছেন গবেষকেরা।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থের গবেষণা জানাচ্ছে, রোজের পাতে ১০০-১৭৫ গ্রাম মাছ রাখলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমবে। মাছে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন, প্রয়োজনীয় খনিজ, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। নিয়মিত মাছ খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে। রক্তে ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হবে, ফলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমবে।

বাঙালির হেঁশেলে যে মাছগুলি বেশি রাঁধা হয়, যেমন রুই, কাতলা, পমফ্রেট বা ভোলাভেটকির মতো মাছ ডায়াবিটিস প্রতিরোধে সাহায্য করছে বলেই দাবি গবেষকদের। এর মধ্যে নদীর মাছ যেমন রয়েছে, তেমনই সামুদ্রিক মাছ যেমন ভোলাভেটকি, পমফ্রেটও রয়েছে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই সব মাছে প্রচুর পরিমাণে ইপিএ ও ডিএইচএ নামক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মাছের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রোটিন, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি ও নানা রকম খনিজ উপাদান, যা হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল রাখতে পারে। ভোলাভেটকির মতো সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, জ়িঙ্ক, আয়োডিন রয়েছে, যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

‘জামা ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, প্রতি সপ্তাহে যদি ২০০ গ্রাম মাছ কেউ খান, তা হলে তাঁর ‘কার্ডিয়োভাস্কুলার ডিজ়িজ়’ (সিভিডি)-এর ঝুঁকি কমে যাবে। ৫৮টি দেশের প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি মানুষের উপরে পরীক্ষা করে এই দাবি করেছেন গবেষকেরা। এক সময়ে মনে করা হত, তৈলাক্ত মাছ খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়বে। তবে গবেষকেরা বলছেন, ভেটকি, ম্যাকারেল, ইলিশ, পাকা রুই, কাতলা, চিতলের মতো মাছে এত বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়োডিন, ভিটামিন ডি, প্রোটিন ও ফসফরাস থাকে, যা হার্ট তো ভাল রাখেই, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমাতে পারে। মাছ যদি নিয়মিত পরিমাণ বুঝে খাওয়া যায়, তবে কোনও ক্ষতি হবে না। তবে ডিপ ফ্রাই করে মাছ রান্না করা চলবে না।

Fish Healthy Diet Diabetes Cholesterol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy