উত্তুরে হাওয়া একটু জাঁকিয়ে বসলেই পিকনিকের পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়। আর খাওয়ারও কমতি নেই। আজ পার্টি, তো কাল পিকনিক। পরশু বন্ধুদের আড্ডায় মদের ফোয়ারা। কাজেই শীতকাল এলেই ডায়েটের একদম দফারফা হয়ে যায়। লেপ-কম্বলের উষ্ণ আরাম ছেড়ে শরীর নাড়াচাড়া করতে ইচ্ছা করে না। অতএব শারীরিক কসরতও হয় না। তাই ভুঁড়িও বাড়তে থাকে। বছরের কয়েকটা দিন নতুন গুড়ের পায়েস, পুলি-পিঠে না খেলে কি আর চলে! কিন্তু রোজকার ডায়েট জলাঞ্জলি দিলেই মুশকিল। শীতে পার্টি করুন, পিকনিকে ভূরিভোজ করুন, ক্ষতি নেই, কিন্তু তারপরে ডায়েটও মেনে চলতে হবে। তবে কঠিন কোনও ডায়েট নয়, শুধু নিয়ম মেনে ও সময়মতো খেলেই ক্ষতি হবে না।
শীতের ডায়েট ঠিক কেমন হবে?
সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ জলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খান। অম্বলের ধাত থাকলে জিরে ভেজানো জল খেতে পারেন।
চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে দুধ এবং চিনি একদম বন্ধ করে দিন। চা খেলে লিকার বা গ্রিন টি, কফির নেশা থাকলে দুধ-চিনি ছাড়া কালো কফি খেতে হবে। ময়দার বিস্কুট খাওয়া একদমই চলবে না।
চা বা কফি না খেলে তার বিকল্প হিসাবে ডবল টোন্ড দুধ খেতে পারেন।
ভারী প্রাতরাশ
প্রাতরাশ ভাল করে করতেই হবে। সবচেয়ে ভাল হয় ডবল টোন্ড দুধে ওট্স মিশিয়ে পরিজ বানিয়ে খেলে। অথবা দইয়ের সঙ্গে ওট্স মিশিয়ে যে কোনও মরসুমি ফল ছোট ছোট করে কেটে উপরে ছড়িয়ে দিন।
আরও পড়ুন:
ওট্সের অমলেট বা চিল্লা ভাল লাগবে। ওট্স গুঁড়ো করে নিয়ে তার সঙ্গে গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে খুব কম তেলে ননস্টিক প্যানে ভেজে নিতে পারেন।ওজন যদি অনেকটাই বেশি হয়, তা হলে দানাশস্যের বদলে সব্জি দিয়ে অমলেট বানিয়ে খেতে পারেন।
দুপুরে হালকা খাবার
এক কাপ সাদা ভাত, সঙ্গে কম মশলা দিয়ে রান্না করা সব্জি, এক বাটি ডাল, চিকেন স্ট্যু, অথবা হালকা মাছের ঝোল। সঙ্গে স্যালাড খেতে পারেন।
ছিমছাম রাতের খাওয়া
ভাত বা রুটি না খেয়ে সেদ্ধ সব্জি, চিকেন, স্যালাড বা সব্জি দিয়ে স্যুপ খেতে পারেন।নিরামিষের মধ্যে পনির বা সয়াবিনের তরকারি অথবা সব সব্জি মিশিয়ে তরকারি বানিয়ে খেতে পারেন।