সন্তান যেন বেঁটে না হয়, তা বহু বাবা-মায়েদের কাছে দুশ্চিন্তার কারণ। কেউ লম্বা হবে না কি বেঁটে, তা অনেকাংশে জিনগত কারণের উপর নির্ভর করে। আবার অভিভাবকদের মধ্যে অনেকেই সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের ক্ষতিকারক ওষুধের শরণাপন্ন হন। তার ফলে অচিরেই সন্তানের কোনো বিপদ হতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছোট থেকে যদি শিশুকে সঠিক পুষ্টি এবং পরিবেশ প্রদান করা যায়, তা হলে তাদের উচ্চতা নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হবে না।
আরও পড়ুন:
খেয়াল রাখতে হবে
১) পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ডায়েট: বৃদ্ধির জন্য পুষ্টির প্রয়োজন। তাই অল্প বয়স থেকেই সন্তানের দেহে যাতে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদানের অভাব না ঘটে, তা খেয়াল রাখা উচিত। তার ফলে যথাসময়ে সন্তানের দেহ এবং মনের বিকাশ ঘটে।
২) হরমোনের নেপথ্যে ঘুম: গ্রোথ হরমোনের ক্ষরণের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। এই হরমোন উচ্চতা বৃদ্ধির অ্যতম কারণ। কিন্তু পড়াশোনো, খেলাধুলো এবং মোবাইল আসক্তির সহ নানা কারণে ছোটদের দৈনিক ঘুমের পরিমাণ কমেছে। সন্তান যাতে প্রতি দিন একই সময়ে ঘুমোতে যায় এবং তার দেহে ঘুমের অভাব না থাকে, তা বাবা-মায়েদের খেয়াল রাখা উচিত।
৩) খেলাধুলো: অল্প বয়সে নিয়মিত খেলাধুলো করলে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। সাঁতার, সাইকেল চালানো এবং স্কিপিং পেশি এবং অস্থি আরও পোক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও যোগাভ্যাস, বাস্কেটবল এবং বিভিন্ন ধনের স্ট্রেচিং দেহকে আরও সুগঠিত করতে সাহায্য করে।
৪) চলাফেরার ভঙ্গি: দেহের ভঙ্গি যদি সুগঠিত হয়, তা হলে তা উচ্চতা বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক। তাই ছোট থেকেই শিশুরা যাতে পিঠ সোজা করে বসে এবং হাঁটে, তা শেখানো উচিত। পাশাপাশি, স্ট্রেচিং এবং শরীরচর্চার মাধ্যমেও দেহের ভঙ্গি সংস্কার করা সম্ভব।
৫) ইতিবাচক পরিবেশ: সন্তানকে উপযুক্ত পরিবেশে বড় করে তুললে, তার মন এবং দেহের বিকাশে সমস্যা হয় না। তাই ছোটদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্লান্তি বা মনের উপর যাতে চাপ না তৈরি হয়, তা খেয়াল রাখা উচিত।