শরীরে জমা ‘টক্সিন’ দূর করতে গেলে নিয়মিত ডিটক্স পানীয় খেতে হবে। বাড়তি মেদ ঝরাতে চাইলে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। সেই কাজটি করতেও সাহায্য করে এই ডিটক্স পানীয়। কিন্তু ডিটক্স করা ঠিক কাকে বলে? আসলে পরিবেশ, খাবার ইত্যাদি থেকে প্রতি দিনই কিছু বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে ঢোকে। সুস্থ থাকার জন্য এই সব টক্সিন বা বিষ শরীর থেকে বার করা প্রয়োজন। তা না হলে বিভিন্ন রকম সংক্রামক রোগ বাসা বাঁধবে শরীরে। রোগ প্রতিরোধ শক্তিও কমবে। শরীরকে বিষ থেকে মুক্ত করাই হল ‘ডিটক্স’।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঘরেই এমন কিছু পানীয় বানানো যায়, যা শরীরকে পুরোপুরি ‘ডিটক্স’ করবে। চলুন জেনে নিই, কী কী সে সব পানীয়।
কোন কোন ডিটক্সে ভুঁড়ি কমবে?
১) প্যানে ৪ কাপ জল এবং ২ চা চামচ গোটা জিরে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। গ্যাস বন্ধ করে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করুন। তার পর ছেঁকে নিয়ে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে খেয়ে নিন। চাইলে সামান্য মধুও দিতে পারেন। নিয়ম করে খেলে পেটফাঁপা, গ্যাস, হজমের সমস্যা কমবে। বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে এই পানীয়।
২) বানাতে পারেন শশার ‘ডিটক্স’ ওয়াটার। একটি কাচের বোতলে তিন থেকে চার টুকরো শশার টুকরো নিন। তার পর তাতে যোগ করুন লেবুর রস এবং পুদিনা পাতা। শেষে পরিমাণমতো জল দিয়ে বোতলের মুখ আটকে নিন। ভাল করে ঝাঁকিয়ে তুলে রাখুন ফ্রিজে। কয়েক ঘণ্টা পরে পান করুন।
আরও পড়ুন:
৩) তরমুজের ‘ডিটক্স’ পানীয়ও খুব উপকারী। পানীয় বানাতে প্রয়োজন ৬-৭ টুকরো তরমুজ, লেবুর রস। একটি কাচের জারে তরমুজের ওই ৬/৭টি টুকরো, লেবুর রস যোগ করে তাতে পরিমাণমতো জল ঢালুন। পুদিনা পাতাও মেশাতে পারেন। তার পর সেই পানীয় ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘণ্টা। ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পান করলেই আরাম পাবেন।
৪) পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, মশলার মধ্যে আদা, দারচিনি, গোটা হলুদ, লবঙ্গ ইত্যাদি ভিজিয়েও ডিটক্স পানীয় তৈরি করা যায়। এই পানীয় ওজন তো কমাবেই, এতে এত বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।