দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানো কঠিন। তার জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন। কারণ হঠাৎ করে ওজন কমানোর প্রবণতা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। আবার একই ধরনের ডায়েট বা শরীরচর্চা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন প্রভাব ফেলতে পারে। ওজন কমানো মানেই কি ফিট থাকা? ব্যাখ্যা দিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং রণবীর কপূরের ব্যক্তিগত ফিটনেস প্রশিক্ষক শিবম ভট্ট।
আরও পড়ুন:
বলিউডের একাধিক তারকার আকর্ষণীয় শরীর তৈরি নেপথ্যে রয়েছেন শিবম। তাঁর মধ্যে রণবীর কপূর অন্যতম। শিবমের মতে, ফিটনেসের একটা অংশ ওজন নিয়ন্ত্রণ। কারণ দেহের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারলে তা ব্যক্তির মনের জোর বৃদ্ধি করে। শিবমের কথায়, ‘‘ভুল ভাবে শরীরচর্চা করলে পেশির ঘনত্ব কমতে পারে। ত্বকও নরম হয়ে যেতে পারে।’’
শরীরচর্চা করার সময়ে অনেকেই অতিরিক্ত কার্ডিয়োর উপর জোর দেন। কিন্তু সেই অনুপাতে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে পেশির ঘনত্ব কমতে শুরু করে। শিবম জানিয়েছেন, তখন অভিযোগ ওঠে, শরীরচর্চা করেও সুঠাম দেহ তৈরি হচ্ছে না। কারণ প্রয়োজনীয় প্রোটিন ছাড়া দেহ অতিরিক্ত পরিমাণে শক্তি ফ্যাট আকারে সঞ্চয় করে রাখে।
শিবম জানিয়েছেন, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মেদ ঝরানো এবং পেশির ঘনত্ব বৃদ্ধি— এই দুটো দিকেই সমান তালে নজর রাখা উচিত। অন্যথায় লক্ষ্যপূরণ করা কঠিন হতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘শরীরচর্চা, সুষম আহার এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল না থাকলে সুফল পাওয়া কঠিন হতে পারে।’’ তাঁর মতে, সুঠাম শরীর তৈরির ফলে দেহের বিএমআর (বেসার মেটাবলিক রেট) এবং ইনসুলিনের কার্যকরিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে সার্বিক ভাবে সুস্থ থাকা আরও সহজ হয়।