সুস্থ থাকতে এবং দীর্ঘায়ু হতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত ১ ঘণ্টা বা তার বেশি হাঁটেন, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেই দেহে নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টিগুণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। তার ফলে পেশির ঘনত্ব কমে যাওয়া বা দেহের ভঙ্গি সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হাঁটার ফলে পেটের মেদও বাড়তে পারে। নেপথ্যে রয়েছে পুষ্টিগুণের অভাব।
আরও পড়ুন:
হাঁটা এবং ডায়েট
যাঁরা নিয়মিত হাঁটেন, তাঁদের ডায়েটে দুটি জিনিস থাকা বাঞ্ছনীয়—
প্রোটিন: হাঁটার ফলে হৃৎপিণ্ড এবং দু'টি পা ভাল থাকে। কিন্তু ডায়েটে প্রোটিনের অভাবে পেশির ঘনত্ব কমতে পারে। তার ফলে সময়ের সঙ্গে দেহের আকারও বদলাতে থাকে। তাই নিয়মিত হাঁটলে ডায়েটে প্রতি দিন যাতে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত ডিম, পনির, ডাল, মাছ এবং মাংস খাওয়া যেতে পারে। বয়স ৪০-এর বেশি হলে, তাঁরা প্রোটিন সাপ্লিমেন্টও ব্যবহার করতে পারেন।
নুন: হাঁটার জন্য দেহে ঘাম হয়। তার ফলে দেহ থেকে জল এবং সোডিয়াম বেরিয়ে যায়। সেই ভারসাম্য পূরণ করা জন্য তখন নোনতা খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। তার ফলে দেহে ক্যালোরিও বেড়ে যায়। দেহে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে নুন-লেবুর সরবত খাওয়া যেতে পারে।
জল: হাঁটার ফলে ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে জল বেরিয়ে যায়। দেহে জলশূন্যতা তৈরি হলে পেশির ঘনত্বে পরিবর্তন হয়। তাই নিয়মিত হাঁটলে দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত। তার ফলে দেহে শক্তির অভাব ঘটবে না।