শ্রাবণ শেষের পথে। মহাদেবের মাথায় জল ঢালার বিশেষ তিথিও আর বাকি নেই। তবে শ্রাবণ প্রায় শেষ বলেই যে মহাদেবের উপাসনারও আর কোনও বালাই থাকবে না, তেমনটা কিন্তু নয়। শিবের আশীর্বাদ লাভ করতে চাইলে তাঁকে প্রসন্ন রাখতে হবে বছরভর। তবেই বর লাভ হবে, না হলে নয়। শ্রাবণ মাস শেষ হওয়ার আগে পালন করুন বিশেষ কিছু টোটকা। এতে মহাদেবের কৃপা সর্বদা আপনার সংসারের উপর থাকবে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
শ্রাবণ শেষের আগে কী কী টোটকা পালন করতে হবে?
পঞ্চামৃত অভিষেক: শ্রাবণের সোমবার আর বাকি নেই বলে যে শিবের মাথায় আর জল ঢালবেন না তেমনটা নয়। শ্রাবণের বাকি দিনগুলি পুজোর সময় মহাদেবকে পঞ্চামৃত (দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি) দিয়ে অভিষেক করুন। দারুণ ফলপ্রাপ্তি ঘটবে।
মহাদেবের স্তোত্র পাঠ: মহাদেবের বিশেষ স্তোত্র, যেমন- শিবরক্ষা স্তোত্র, শ্রী শিব পঞ্চকম স্তোত্র প্রভৃতি পাঠ করলে প্রসন্ন হন মহাদেব। প্রতি দিন স্নানের পর শুদ্ধ বস্ত্র ধারণ করে এই স্তোত্র পাঠ করতে হবে। এতে অর্থসমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ঘাড় থেকে ঋণের বোঝা নামবে।
আরও পড়ুন:
মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ: সারা বছরই যদি মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা যায়, তা হলে জীবনে সুখের অন্ত থাকে না। তবে এই মন্ত্র জপ করার নানা নিয়ম রয়েছে, সেই সকল নিয়ম মেনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করা সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে শ্রাবণের এই শেষ ক’দিনের অন্তত যে কোনও এক দিন হলেও সঠিক নিয়ম মেনে এই মন্ত্র ১০৮ বার পাঠ করার চেষ্টা করুন।
অখণ্ড চাল দান: শ্রাবণের বাকি দিনগুলি শিবকে অখণ্ড চাল অর্পণ করুন। এতে জন্মছকে চাঁদের অবস্থান শুভ হবে। জীবনে সমৃদ্ধি আসবে।
আরও পড়ুন:
ত্রিশূল, ডমরু ও নন্দী আনুন: আমরা অনেকেই জানি যে শ্রাবণে বাড়িতে শিব সম্পর্কিত জিনিস আনা খুবই শুভ। শ্রাবণ শেষ হওয়ার আগে বাড়িতে ত্রিশূল, ডমরু, নন্দী প্রভৃতি এনে সিংহাসনে রাখতে পারেন। ভোলেবাবার কৃপার পাত্র হবেন।