জ্যোতিষশাস্ত্রে প্রচুর রত্নের কথা বলা রয়েছে। তবে এর মধ্যে প্রধান ৯টা গ্রহের সঙ্গে ৯টা রত্নের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মনে করা হয়, রত্নের রং এবং তরঙ্গ আমাদের শরীরের উপর প্রভাব ফেলে। তাই গ্রহরত্ন শরীরের এমন জায়গায় পরতে হয় যেখানে ভালমতো আলো পৌঁছোয়, যেমন হাত। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জ্যোতিষীরা হাতে রত্ন ধারণ করার কথা বলে থাকেন। শরীরে প্রাকৃতিক উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখতে গ্রহরত্নের খুব ভাল ভূমিকা রয়েছে। খাদ্য যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, ঠিক তেমন রত্ন সাহায্য করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে। রত্ন ধারণ করলে আমরা নানা ধরনের বিপদ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলতে পারি।
আরও পড়ুন:
এখন জেনে নেব কোন গ্রহরত্ন আমাদের কোন বিপদ থেকে মুক্তি দেয়:
হলুদ পোখরাজ: জন্মছকে বৃহস্পতি দুর্বল থাকলে পোখরাজ পরা যেতে পারে। হলুদ পোখরাজ আমাদের আর্থিক উন্নতি ঘটায় এবং আধ্যাত্মিকতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রুবি: এই রত্ন সূর্যের রশ্মির ন্যায়
আমাদের জীবনের সব অশুভ প্রভাবকে নষ্ট করে দেয়। রবির কুপ্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে
রুবি পরতে পারেন।
মুক্তো: মুক্তো আমাদের মানসিক চাপ
থেকে মুক্তি দেয়। চন্দ্রের দোষ কাটাতে সাহায্য করে মুক্তো। যদিও মুক্তো ধারণের ফলে
মানসিক চাপ থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়, তবে মুক্তো ধারণের পর মানসিক অবস্থা যদি
আরও খারাপ হয়ে যায়, তা হলে বুঝতে হবে মুক্তো কাজ করছে না। তাই যে কোনও রত্ন ধারণের
আগে জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
আরও পড়ুন:
প্রবাল: প্রবাল মঙ্গল গ্রহের রত্ন,
এটি আমাদের মাঙ্গলিক দোষ থেকে মুক্তি দেয়। দাম্পত্য অশান্তি এবং রক্তপাত থেকেও রক্ষা
করে এই রত্ন।
পান্না: বুধ গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত পান্না। এই রত্ন বুদ্ধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে পান্না। তবে পান্না ধারণের পর যদি জেদ বেড়ে যায়, তা হলে পান্না খুলে ফেলতে হবে।
হিরে: শুক্রের রত্ন হিরে। হিরে ধারণ করলে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়, তবে সহ্য না হলে জীবন ধ্বংসের পথে চলে যায়।
আরও পড়ুন:
নীলা: শনির কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে নীলা। এই রত্ন ধারণ করলে শনি গ্রহের সুদৃষ্টি পড়ে, তবে নীলা সহ্য না হলে বিপদ আসতে পারে। এটা অত্যন্ত শক্তিশালী একটা রত্ন।
গোমেদ: রাহুর কুপ্রভাব থেকে বাঁচতে গোমেদ ধারণ করা হয়। কিন্তু সহ্য না হলে সমস্যা হতে পারে, তাই জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ক্যাট’স আই: ক্যাট’স আই কেতুর কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করে। তবে জ্যোতিষীর পরামর্শে পরুন, সহ্য না হলে চর্মরোগ সৃষ্টি হতে পারে।