গ্রহের প্রতিকার করা যে সব সময় ব্যয়সাপেক্ষ, তা নয়। অনেকেই মনে করেন, গ্রহের সমস্যা মানেই প্রচুর অর্থ ব্যয় করে দামি গ্রহরত্ন না পরলে গ্রহের প্রতিকার করা যায় না। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। গ্রহরত্ন ধারণ করা হল গ্রহের প্রতিকারের একটা উপায় মাত্র। সব ক্ষেত্রে গ্রহরত্ন ধারণ করা উচিতও নয়। বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া গ্রহরত্ন ধারণ করলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিই বেশি হয়। বিনা খরচায় বা নামমাত্র খরচায়ও অশুভ গ্রহের প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
আরও পড়ুন:
গ্রহরত্ন ধারণ না করে, গ্রহের রঙের ব্যবহার, গ্রহের মন্ত্রপাঠ, গ্রহের দেবতা এবং অধিদেবতার পূজাপাঠ ইত্যাদি উপায়ে গ্রহের প্রতিকার করা সম্ভব। সামান্য কিছু নিয়ম এবং জীবনধারার কিছু পরিবর্তনেও বিনা খরচে বা খুব অল্প খরচে অশুভ গ্রহের প্রতিকার করা সম্ভব।
গ্রহরত্ন ধারণ না করে কোন গ্রহের প্রতিকারের জন্য কি করণীয় জেনে নিন:
রবি: রবির প্রতিকারের জন্য রোজ সূর্যস্তোত্র পাঠ করে সূর্যপ্রণাম করুন। পিতা এবং পিতৃতুল্য ব্যক্তির সেবা করুন। লাল রঙের জামা পরুন। ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের পুজো করুন।
আরও পড়ুন:
চন্দ্র: চন্দ্রের অশুভ প্রভাবের হাত থেকে বাঁচতে মা এবং বাড়ির অন্যান্য বয়স্ক মহিলার সেবা করুন। সাদা রঙের জামা পরুন। সোমবার করে শিবের পুজো করুন। সম্ভব হলে রুপোর পাত্রে জল ও দুধ পান করুন।
মঙ্গল: হনুমান চালিশা পাঠ করলে মঙ্গলের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। লাল বা কমলা রঙের জামা পরুন। ঘরে পঞ্চমুখী বজরংবলির ছবি রাখুন।
বুধ: বুধের প্রতিকারের জন্য শ্রীবিষ্ণুর পুজো করুন। বুধবার গণপতির পায়ে সিঁদুর দিন এবং জবাফুল ও দূর্বা সহযোগে শ্রীগণেশের পুজো করুন। সবুজ রঙের পোশাক পরুন।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতি: বৃহস্পতির অশুভ প্রভাবের হাত থেকে বাঁচতে ব্রাহ্মণ এবং গুরু সেবা করুন। হলুদ রঙের জামা পরুন। কপালে হলুদ তিলক পরুন। প্রতি বৃহস্পতিবার গরুকে খাওয়ান।
শুক্র: শুক্রের প্রতিকারের জন্য সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করুন। গৃহের কন্যাসন্তান এবং মহিলা সদস্যদের খুশি রাখুন। সাদা পোশাক পরুন।
শনি: শনির অশুভ প্রভাবের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গৃহের বয়স্কদের সেবা করুন, খুশি রাখুন। দেবী দক্ষিণা কালীর এবং শনি মহারাজের পুজো করুন। নীল রঙের পোশাক পরুন। শনিবার করে নিজের বাড়ি এবং বাড়ির বাথরুম পরিষ্কার করুন।
আরও পড়ুন:
রাহু: রাহুর প্রতিকারের জন্য প্রতি দিন দেবী দুর্গার পুজো এবং দুর্গার নাম জপ করুন। দুঃস্থদের সাধ্যমতো দান এবং সেবা করুন। নেশা, বিশেষত ধূমপান বর্জন করুন।
কেতু: কেতুর প্রভাব থেকে বাঁচতে গণেশের পুজো করুন। জটাধারী সাধুদের সেবা করুন।