শনি হল ধীর গতির গ্রহ। তাই তার প্রভাব দানের ক্ষমতা অন্যান্য গ্রহের তুলনায় বেশি। ভাল প্রভাব হোক বা খারাপ প্রভাব, যে কোনও ক্ষেত্রেই শনির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হয়। কিন্তু শনির ফলে যে কেবল খারাপই ঘটে এটা ভাবা ঠিক নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, শনি হল কর্মফলদাতা গ্রহ। শনি কর্মের কারক এবং ন্যায়বিচারক গ্রহ। ন্যায়বিচার বলতে বলা যেতে পারে, শনি গ্রহের প্রভাবে কাজ অনুযায়ী শুভ বা অশুভ ফল প্রাপ্ত হয়। কর্মের কারক হওয়ার কারণে যে কোনও প্রকার কর্মের উপর শনি প্রভাব দান করে। চলতি বছরে মার্চের ২৯ তারিখ শনি রাশি পরিবর্তন করে মীন রাশিতে গমন করেছে। এর ফলে বহু রাশির জাতক-জাতিকাদের উপরে শনির প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। বিশেষ দৃষ্টির কারণে মীন রাশি ছাড়াও বৃষ, কন্যা এবং ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা শনির রাশি পরিবর্তনের কারণে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত হবে এবং সিংহ, মিথুন, ধনু ও মীন রাশির কর্মক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব পড়বে। কুপ্রভাব থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়ার জন্য পাঠ করতে হবে কয়েকটি মন্ত্র, মেনে চলতে হবে কয়েকটি সহজ টোটকা।
আরও পড়ুন:
শনির কুপ্রভাব থেকে বাঁচার মন্ত্র ও সেগুলি পাঠ করার উপকারিতা:
১. শনির বীজমন্ত্র:
ওম শাম শনিচারায় নমঃ।
উপকারিতা: এই মন্ত্রটি পাঠ করার ফলে জীবনে মানসিক শান্তি আসে এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। শনির ‘বিষ নজর’ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়। জীবনে চলার পথে আসা নানা বাধার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. শনির গায়ত্রী মন্ত্র:
ওম কাকধ্বজায়া বিদমহে, খড়্গ হস্তায়া ধীমাহি, তন্নো মান্দঃ প্রচোদয়াত।
উপকারিতা: এটি পাঠ করলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হয়। তিনি শনিদেবের আশীর্বাদ লাভ করেন।
আরও পড়ুন:
৩. হনুমান চালিশা:
হনুমান চালিশা পাঠ করার ফলে সাহস বৃদ্ধি পায়। কথিত আছে, এই মন্ত্র যদি ভক্তি সহকারে পাঠ করা যায় তা হলে শনিদেবের ক্রোধ কমে, তিনি শান্ত হন। নেগেটিভ মনোভাব কমে, পজ়িটিভ মনোভাব বৃদ্ধি পায়।
৪. বিষ্ণু মন্ত্র:
ওম নমো নারায়ণায়।
উপকারিতা: ছোট্ট এই মন্ত্রটি পাঠ করার গুণ অনেক। কঠিন সময়কে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি দেয় এই মন্ত্রটি।
আরও পড়ুন:
শনির কুপ্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার টোটকা:
১. হনুমান এবং মহাদেবের পুজো করুন।
২. তিল তেলের বাতি জ্বালান।
৩. সাধ্যমতো দান করুন।
৪. শনিবার দিন নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন।