রবিবার জামাইষষ্ঠী। হিন্দু বাঙালিদের কাছে এই দিনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শাশুড়ি মায়েরা এই দিন মেয়ে-জামাইয়ের সংসারের মঙ্গলকামনায় উপবাস রেখে মা ষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন। মেয়ে তাঁর বাপের বাড়ি আসেন তাঁরস্বামীকে সঙ্গে নিয়ে। চলে খাওয়াদাওয়ার বিশেষ পর্ব, সঙ্গে মানা হয় বিশেষ কিছু নিয়ম। আর তারই সঙ্গে চলে উপহার দেওয়ার পালা। কিন্তু চোখে দেখে যা ভাল লাগে তা-ই উপহার হিসাবে দেওয়া যায় না। সব কিছুরই একটা শুভ-অশুভ ব্যাপার রয়েছে। তাই উপহার কিনতে যাওয়ার আগে এক বার জেনে নেওয়া উচিত যে কোন কোন জিনিস উপহারের তালিকায় রাখা যাবে না। সঙ্গে জেনে নিন কী কী উপহার দিলে জামাইয়ের জীবন সাফল্য ও আনন্দে ভরে উঠবে।
আরও পড়ুন:
কী কী জিনিস উপহার হিসাবে দেওয়া যাবে?
১. পোশাক: জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে নির্দ্বিধায় জামাকাপড় উপহার হিসাবে দিতে পারেন। কিন্তু কালো বা অন্যান্য কোনও গাঢ় রঙের পোশাক না দেওয়াই ভাল বলে মনে করা হচ্ছে। সাদা, হলুদ, লাল, আকাশি, কমলা প্রভৃতি রঙের পোশাক জামাইকে উপহার দিতে পারেন।
২. বৈদ্যুতিন যন্ত্র: প্রতি বছর পোশাক দিতে দিতে যদি হাঁপিয়ে যান, আর নতুন কিছু দিতে মন চাইলে বৈদ্যুতিন যন্ত্র উপহার দিতে পারেন। যে কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্রই উপহার হিসাবে দেওয়া যেতে পারে।
৩. রুপোর গয়না: বহু পুরুষই হাতে রুপোর ব্রেসলেট বা বালা পরতে ভালবাসেন। শাস্ত্রমতে, রুপোর জিনিস উপহার দেওয়া অত্যন্ত শুভ। তাই মন চাইলে কোনও ভাবনাচিন্তা না করে জামাইকে রুপোর গয়না উপহার দিতে পারেন।
আরও পড়ুন:
৪. ব্যাগ: ল্যাপটপ নেওয়ার ব্যাগ বা অফিসের ব্যাগ উপহার দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু মানিব্যাগ উপহার দেওয়া যাবে না। একান্তই যদি মানিব্যাগই উপহার দিতে হয়, তা হলে তাতে কিছু টাকা ভরে দেবেন।
৫. ঘর সাজানোর জিনিস: ঘর সাজানোর জিনিস, যেমন বুদ্ধমূর্তি, স্ফটিকের কচ্ছপ, লাফিং বুদ্ধ, কোনও ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি উপহার হিসাবে দিতে পারেন। এতে আপনার জামাইয়ের ভাল হবে।
৬. ঘর সাজানোর গাছ: আজকাল গাছ দিয়ে ঘর সাজানোর চল খুব হয়েছে। আপনার জামাই যদি শৌখিন মানুষ হন এবং চোখের সামনে সবুজের ছোঁয়া রাখতে ভালবাসেন তা হলে ঘর সাজানোর গাছ উপহার দিতে পারেন। সেগুলি তিনি তাঁর অফিসের ডেস্কেও সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। লাকি বাম্বু, পিস লিলি, স্নেক, মানিপ্ল্যান্ট, জ়েড প্রভৃতি গাছ উপহার হিসাবে দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
৭. চকোলেট ও ড্রাই ফ্রুটস: আপনার আদরের জামাই যদি খাদ্যরসিক হন, তা হলে তাঁকে চকোলেট এবং ড্রাই ফ্রুটস উপহার হিসাবে দিতেই পারেন। এতে আপনাদের সম্পর্কের মিষ্টত্ব বজায় থাকবে, জামাই খুশিও হবেন।
কী কী জিনিস উপহার হিসাবে দেওয়া যাবে না?
জুতো: জামাইকে ভুলেও জুতো উপহার দেবেন না। এতে সম্পর্কে ভাঙন সৃষ্টি হতে পারে।
সুগন্ধি: সুগন্ধিও উপহার হিসাবে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করা হয়। যদি দিয়েও দেন তা জামাইয়ের থেকে এক টাকা হলেও নিয়ে নেবেন। কিন্তু রুম ফ্রেশনার জাতীয় সুগন্ধি দ্রব্য দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
ঘড়ি: অনেকেই হাতঘড়ি উপহার হিসাবে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই কাজ করা উচিত নয়। মনে করা হয়, আপনার জীবনে যদি খারাপ সময় চলে তা হলে সেটি আপনি যাকে ঘড়ি উপহার দিচ্ছেন তাঁর কাছেও চলে যাবে। তাই হাতঘড়িকে উপহারের তালিকা থেকে বাদ রাখুন।
রুমাল: রুমালকেও উপহার হিসাবে অশুভ বলে মনে করা হয়।