ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে কুয়োর অংশ ভেঙে বিপত্তি। অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। যদিও এখনও মৃতের সংখ্যা চূড়ান্ত করতে পারেনি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার কুয়ো ভাঙার ঘটনাটি ঘটে। তার পর থেকে লাগাতার চলছে উদ্ধারের কাজ। এখনও পর্যন্ত দু’টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিন জনের আটকে থাকার কথা জানিয়েছে এনডিআরএফ।
রাজধানী রাঁচী থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে পিস্কা গ্রাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই গ্রামের কুয়োয় একটি ষাঁড় পড়ে যায়। ষাঁড়টিকে উদ্ধার করতে কুয়োয় নামেন নয় গ্রামবাসীরা। তার পরেই কুয়োর একটি অংশ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। তলায় আটকে পড়েন নয় গ্রামবাসী এবং ষাঁড়টি। রাঁচী গ্রামীণের পুলিশ সুপার এইচ বি জামা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। একটি গৃহপালিত পশু কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল। তাকে উদ্ধার করতে কুয়োয় নামেন ন’জন গ্রামবাসী। তার পরেই কুয়োর অংশ ভেঙে পড়ে তাঁদের উপর।’’
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীরাই একটি দেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে এনডিআরএফ। বেলায় উদ্ধার হয় আরও একটি দেহ। এনডিআরএফের অনুমান, কুয়োয় এখনও তিনটি দেহ আটকে রয়েছে। তা উদ্ধার করতে জোরকদমে চলছে কাজ।
এনডিআরএফের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত দু’টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। একটি দেহ গ্রামবাসীরাই উদ্ধার করেছিলেন, আমরা কাজ শুরু করে আরও একটি দেহ উদ্ধার করি। এখনও তিন জন কুয়োর ভিতরে আটকে রয়েছেন।’’ তিনি জানিয়েছেন, কুয়োটি বোল্ডার দিয়ে তৈরি হয়েছিল। ফলে উদ্ধারকাজ চালাতে ওই বোল্ডার খুলে নিতে হচ্ছে এনডিআরএফকে। যা অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য কাজ। তাই উদ্ধারকাজ কখন শেষ হবে, তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তিনি।