তিন দশক পরে দিল্লি বিধানসভার দখল নিয়েছে বিজেপি। প্রশ্ন, এ বার কি দিল্লির মেয়র পদও দখলে রাখতে চাইছে তারা? এপ্রিল মাসে দিল্লি পুরসভা (এমসিডি)-র মেয়র নির্বাচন। কেন্দ্র, রাজ্যে সরকার গড়ার পরে আপের থেকে মেয়র পদ ছিনিয়ে নিতে পারলে দিল্লিতে ‘ট্রিপ্ল ইঞ্জিন’ সরকার হবে বিজেপির। মনে করা হচ্ছে, এখন সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে তারা।
দিল্লি পুরসভায় কাউন্সিলরের সংখ্যা ২৫০। মেয়র নির্বাচনে তাঁদের সঙ্গে ভোট দেন দিল্লির সাত জন সাংসদ, রাজ্যসভার তিন জন সাংসদ এবং ১৪ জন বিধায়ক। বিজেপির কাউন্সিলরের সংখ্যা এখন ১২০। আপের কাউন্সিলরের সংখ্যা ১২২। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আট জন কাউন্সিলর এবং আপের তিন জন কাউন্সিলর লড়াই করেছেন। তাঁরা সকলেই জয়ীও হয়েছেন। বিজেপির গজেন্দ্র ড্রল মুণ্ডকা থেকে, রেখা গুপ্ত শালিমার বাগ থেকে, পুনম শর্মা ওয়াজিরপুর থেকে, নীলম পহেলওয়ান নজফগড় থেকে, উমঙ্গ বাজাজ রাজেন্দ্রনগর থেকে, চন্দন চৌধরি সঙ্গম বিহার থেকে, রবীন্দ্র সিংহ নেগি পটপরগঞ্জ থেকে, শিখা রাই গ্রেটার কৈলাস থেকে জয়ী হয়েছেন। বিজেপির মনোনীত কাউন্সিলর রাজকুমার ভাটিয়াও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন। যদিও মনোনীত কাউন্সিলরেরা মেয়র নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। তাঁকে মনোনীত করেন উপরাজ্যপাল।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পরে ১২ জন কাউন্সিলরের আসন ফাঁকা হয়েছে। তার মধ্যে একটি আসনে কাউন্সিলর মনোনীত করবেন উপরাজ্যপাল। বাকি ১১টি আসনে উপনির্বাচন হবে। কাউন্সিলরেরা দিল্লি বিধানসভা ভোটে জয়ের পরে বিজেপির এখন কাউন্সিলরের সংখ্যা ১১২। আপের কাউন্সিলরের সংখ্যা ১১৯।
আরও পড়ুন:
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শেষ বার এমসিডির মেয়র নির্বাচন হয়েছিল। মেয়াদ ছিল পাঁচ মাস। সেই মেয়াদ শেষে এপ্রিলে আবার ভোট হওয়ার কথা। শেষ ভোটে বিজেপির কিষাণ লালকে তিন ভোটে হারিয়েছিলেন আপের মহেশ খিচি। ২৬৩টি ভোটের মধ্যে মহেশ পেয়েছিলেন ১৩৩টি ভোট। কিষাণ পেয়েছিলেন ১৩০টি। দু’টি ভোট বাতিল হয়েছিল। সে সময় বিজেপির কাউন্সিলরের সংখ্যা ছিল ১১৩। তাঁদের সঙ্গে এক বিজেপি বিধায়ক এবং সাত সাংসদ সমর্থন করেছিলেন। অন্য দিকে, আপের মহেশকে সমর্থন করেছিলেন ১২৫ জন কাউন্সিলর, ১৩ জন বিধায়ক এবং রাজ্যসভার তিন জন সাংসদ। কংগ্রেসের আট জন কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন।
আসন্ন ভোটে বিজেপির পক্ষে থাকবেন তাঁদের ১৪ জন বিধায়ক। যেখানে আগের বার ছিলেন সাত জন বিধায়ক। তাই মনে করা হচ্ছে, এ বার মেয়র পদ আপের থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে বিজেপি। একটি সূত্রের দাবি, এপ্রিলের আগেই মেয়র মহেশের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারে বিজেপি।