—প্রতীকী চিত্র।
কিশোরীর গুটখার নেশা ছাড়াতে বাবাকে স্কুলে ডেকে নালিশ করেছিলেন শিক্ষিকা। অপমান সইতে না পেরে গলায় দড়ি দিল সেই ছাত্রী। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই নিজের ঘরে ঢুকে যায় সে। পরে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যেরা।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির মাহোবা শহরের। অভিযোগ, একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী গুটখা খেত। নিয়মিত নেশা করত। গুটখার প্রতি তার আসক্তি তৈরি হয়েছিল। তবে কিশোরীর পরিবার এই আসক্তির কথা জানত না। বাড়িতে লুকিয়ে লুকিয়েই নেশা করত সে।
কিশোরীর এই গুটখা প্রীতির কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন তার স্কুলের শিক্ষিকা। এর পরেই তার বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়। বাবার সামনে শিক্ষিকা জানান, কিশোরী স্কুলেও গুটখা খায়। ওই নেশা না ছাড়লে তাকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ।
কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর নিজের ঘরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয় কিশোরী। প্রথমে তাঁরা কেউ কিছু সন্দেহ করেননি। ঘণ্টাখানেক পরে তাঁদের মনে হয়, কিশোরী দরজা খুলছে না। দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন সকলে। দেখা যায়, সিলিং থেকে ঝুলছে কিশোরী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্কুলে শিক্ষিকার অপমান সহ্য করতে না পেরেই এই চরম সিদ্ধান্ত সে নিয়েছে বলে অভিযোগ বাবার।
কিশোরীর বাবা বলেন, ‘‘স্কুলে আমার সামনেই শিক্ষিকা ওঁর ব্যাগ ঘেঁটে দেখেন। সেখান থেকে অনেক গুটখা বেরোয়। আরও অনেকে সেখানে ছিল।’’
গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। স্টেশন হাউস অফিসার বীরেন্দ্র প্রতাপ জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারের তরফে আত্মহত্যার আর কোনও সম্ভাব্য কারণ জানানো হয়নি। স্কুলে গিয়ে পুলিশ সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও রেকর্ড করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy