(বাঁ দিকে) মাথায় পেরেক ঢুকে যাওয়া যুবকের এক্স রে রিপোর্ট। যে পেরেকটি যুবকের মাথায় ঢুকে গিয়েছিল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সহকর্মীর অসাবধানতায় মাথার পিছন দিকে দু’ইঞ্চির পেরেক গেঁথে গিয়েছিল। জটিল অস্ত্রোপচার করে যুবককে বাঁচালেন চিকিৎসকেরা। পেরেকটি বার করে যুবককে সুস্থ করে তুলেছেন তাঁরা। মাথার আর কোনও অংশে ক্ষতি হয়নি।
যুবক উত্তরপ্রদেশের মাছলি গাঁওয়ের বাসিন্দা, নাম ব্রহ্মা। চেন্নাইয়ের একটি কারখানায় কাজ করেন তিনি। গত ৪ জুলাই কারখানায় তাঁর এক সহকর্মী পিস্তল আকারের যন্ত্রের মাধ্যমে পেরেক দিয়ে কাঠের বাক্স সিল করার কাজ করছিলেন। ব্রহ্মা সেখানেই নিচু হয়ে ঝুঁকে মেঝে পরিষ্কার করছিলেন। আচমকা তাঁর ঘাড়ের কাছে মাথার পিছনের দিকে আঘাত লাগে। তীব্র ব্যথা অনুভব করেন ব্রহ্মা। মাথায় হাত দিয়ে নীচে বসে পড়েন তিনি।
দেখা যায়, তাঁর মাথার পিছন দিকে ঘাড় থেকে কিছুটা উপরে একটি ধারালো পেরেক গেঁথে গিয়েছে। গল গল করে বেরিয়ে আসছে রক্ত। সহকর্মীরা ধরাধরি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ব্রহ্মাকে।
৬ ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করেন। অত্যন্ত সাবধানে পেরেকটি তাঁর মাথা থেকে বার করে আনা হয়েছে। মাথায় ফুটো করে অভিনব কায়দায় পেরেকটি বার করেছেন চিকিৎসকেরা।
ব্রহ্মা জানান, একটি এএ ব্যাটারির আকারের পেরেক তাঁর মাথায় গেঁথে গিয়েছিল। কারখানা থেকে সেই অবস্থায় তিনি যখন হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তখন সচেতনই ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পরে তাঁর শরীরে আরও কোনও সমস্যা বা অসুস্থতা নেই। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।
ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, যুবকের রক্তচাপ এবং নাড়ির গতি স্বাভাবিক ছিল। হাত বা পায়ে কোনও দুর্বলতা ছিল না। তা ছাড়া, তাঁর বয়সও অনেক কম। সেই কারণেই অস্ত্রোপচারে অসুবিধা হয়নি। তবে পেরেকটি যুবকের চামড়ার চেয়ে আধ ইঞ্চি গভীরে ঢুকে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এমন একটি জটিল জায়গায় পেরেক ঢুকেছিল যে, সামান্য অসাবধানতায় পক্ষাঘাত, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিন পরেই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি সুস্থ শরীরে আবার কাজেও যোগ দিয়েছেন। চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুবক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy