ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেও, রেশন ডিলারদের পক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয় বলে ফের দাবি করলেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস ডিলার ফেডারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। আজ দিল্লিতে তিনি জানান, বাড়ি পৌঁছে দিতে কেবল ডিলারদের সমস্যা হচ্ছে তা নয়, অনেক উপভোক্তাই বাড়িতে রেশন নিতে চাইছেন না। ওই প্রকল্পে আপত্তি জানিয়ে হাই কোর্টের পরে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রেশন ডিলারেরা। শীর্ষ আদালত শেষ পর্যন্ত এতে কী রায় দেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ওই সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের দলীয় ইস্তাহারে রাজ্যের প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গত মাসে পাইলট প্রজেক্টের কাজও শুরু হয়। কিন্তু বিশ্বম্ভর বসুর দাবি, ওই প্রকল্পের জন্য প্রত্যেক রেশন দোকানের মালিককে আলাদা গাড়ি কিনতে হবে। এক জন চালক ও মালবাহককে বেতন দিতে হবে। কুইন্টাল পিছু যেখানে মাত্র পঞ্চাশ পয়সা সরকারি অনুদান পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে খরচ কুলিয়ে ওই প্রকল্প চালানো ডিলারদের পক্ষে সমস্যার।’’ তাঁর দাবি, করোনার আবহে বহু মানুষ বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে আপত্তি জানিয়েছেন। কারণ, বাইরের লোক ঘরে এলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। ওই প্রকল্পের জন্য ৪৮১.৭৬ কোটি ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। বিশ্বম্ভরের মতে, ওই প্রকল্প না হলে রাজ্য সরকারের ওই অর্থ বেঁচে যাবে।
এ দিকে, দীপাবলির পর থেকে রাজ্যের রেশন দোকানগুলিতে মুগ, মুসুর, অড়হর ডালের সঙ্গেই ভোজ্য সোয়াবিন তেল পাওয়া যাবে বলে জানান বিশ্বম্ভর। তাঁর দাবি, বাজারের থেকে কম দামে যাতে তেল ও ডাল রেশন দোকানে যাতে পাওয়া যায়, তার জন্য ওই উদ্যোগে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কৃষি মন্ত্রক। আগামী দিনে রেশন দোকানগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে আরও নতুন খাদ্যশস্য কম দামে বিক্রি করার কথা ভাবা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy