আধার, ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড রয়েছে। তার পরেও বেআইনি ভাবে ভারতে বাস করার অভিযোগে এ দেশ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে বলে দাবি কাশ্মীরের শ্রীনগরে বসবাসকারী এক পরিবারের। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। সুপ্রিম কোর্ট আপাতত স্বস্তি দিয়েছে ওই পরিবারকে। কেন্দ্রকে এই সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এখনই ওই পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে এই নির্দেশকে কোনও নজির হিসাবে বিবেচনা উচিত হবে না, তা-ও জানিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মামলাটিতে যে সব তথ্য উঠে এসেছে, তার প্রেক্ষিতেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়েছে। এই অবস্থায় পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল (দীর্ঘমেয়াদি এবং কূটনৈতিক ভিসা ব্যতীত) করে দিয়েছে ভারত। সব পাকিস্তানি নাগরিককে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে এ দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মেডিক্যাল ভিসার ক্ষেত্রে আরও দু’দিন ছাড় দেওয়া হয়। সেই সময়সীমাও ইতিমধ্যে পেরিয়ে গিয়েছে।
এই অবস্থায় শ্রীনগরের ছয় সদস্যের ওই কাশ্মীরি পরিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ওই পরিবারের এক জন বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। পরিবারের বাকি সদস্যেরা থাকেন শ্রীনগরেই। ওই পরিবারের দাবি, তারা ভারতীয় নাগরিক। আধার, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ সরকারি নথিপত্রও রয়েছে পরিবারের সদস্যদের। অথচ তাঁদের এ দেশ থেকে পাকিস্তানে বিতাড়নের জন্য গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে শীর্ষ আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে ওই পরিবার। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ শুক্রবার সরকারকে জানিয়েছে, ওই পরিবারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না-দিয়ে যেন পাকিস্তানে বিতাড়ন করা না-হয়। সরকার পক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন:
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বে়ঞ্চ’ অনুসারে, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় মানবিক দিক ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় যাচাই করে দেখা প্রয়োজন। শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, এই মামলার ক্ষেত্রে যথাযথ সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়া পর্যন্ত মামলাকারী পরিবারের বিরুদ্ধে যেন কোনও কড়া পদক্ষেপ না-করা হয়। তথ্য যাচাইয়ের পরে সরকার তাঁদের বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নিলে ওই পরিবার জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।