অদম্য মনের জোরে এগিয়ে চলেছে আমান্দা। ছবি: দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সৌজন্যে
ধরা পড়েছিল ক্যানসার। ১৪ রাউন্ড কেমোথেরাপি নেওয়ার পরে কেটে বাদ দিতে হয়েছিল বাম পা’টি। কিন্তু থেমে থাকার মেয়ে ছিলেন না আমান্দা মেরেল। অদম্য জীবনীশক্তি নিয়ে ফিরে এসে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য সে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের হয়ে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে প্রথমে দু’বার পড়ে গিয়েছিলেন আমান্দা। কিন্তু হার মানতে শেখেননি যিনি, সামান্য পড়ে যাওয়া কী করে থামাবে তাকে? উঠে দাঁড়িয়ে পরপর তিন বার জাল চিনতে ভুল করেনি আমান্দার ছোঁড়া বল। আর কারও সহানুভূতি প্রয়োজন হয়নি আমান্দার।
যদিও বল ছোঁড়ার সময় নিজস্ব পদ্ধতিতে তা করে থাকেন আমান্দা। দু’পায়েই না লাফিয়ে শুধুমাত্র সামনের পা’য়ে ভর করেই লাফিয়ে ওঠেন তিনি। এ ছাড়া দৌড়ানোর সময় বাম পা’টিকে সাইকেলের মতো করে টেনে আনতে হয় তাঁকে। তবু জীবনে সামনের দিকেই তাকাতে চান তিনি। কারুর থেকে পিছিয়ে থেকে নয়, নিজেই নেতৃত্ব দিতে চান আমান্দা।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ৫৫ হাজার গাউন কেন কিনে দিলেন এই ব্যক্তি!
দলের সঙ্গে আমান্দা। ছবি: দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সৌজন্যে
কিন্তু আমান্দার বাবা-মা ভাবতে পারেননি নিজের জীবনটা এ ভাবে গড়ে নিতে পারবেন তিনি। তাঁর তিন বছর বয়সে বাঁ পায়ে একটা ফোলা মতো দেখা যায়। পরে চিকিৎসা করে দেখা যায় ক্যানসার থাবা বসিয়েছে আমান্দার শরীরে। প্রাণ বাঁচাতে হাঁটু থেকে পুরো পা’টাই কেটে বাদ দিতে হয় আমান্দার। তার পর থেকেই নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই শুরু আমান্দার। সে সব দিনের কথা মনে পড়লে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন আমান্দার বাবা-মা।
আরও পড়ুন: কিমের গোপন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি! রিপোর্টে চাঞ্চল্য
এখন লক্ষ্য কী আমান্দার সামনে? প্রতিবন্ধীদের জন্য অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করতে চান আমান্দা। নিজেকে তৈরি করছেন সেই দিকে তাকিয়েই। তাঁর মতো আরও মানুষদের নতুন জীবনের পথে এগিয়ে দেওয়াই এখন লক্ষ্য তাঁর, জানিয়েছেন আমান্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy