Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
International News

বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবই কমিউনিস্ট পার্টির প্রকৃত স্বরূপ, মনে করেন ট্রাম্প

ভারতের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। -ফাইল ছবি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। -ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ১০:৪১
Share: Save:

ভারত ও অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট পার্টির প্রকৃত স্বরূপ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই মনে করেন বল‌ে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কেলি ম্যাকানেনি।

বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ম্যাকানেনি বলেন, ‘‘ভারত-চিন সীমান্তে তৈরি হওয়া উত্তেজনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি চিনের আগ্রাসী মনোভাব। এই পদক্ষেপগুলিই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রকৃত স্বরূপ সকলকে চিনিয়ে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমনটাই মনে করেন।’’

পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাকানেনি জানান, দু’দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপর আমেরিকা নিয়মিত দৃষ্টি রাখছে। নজর রাখছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আমেরিকা চায় এই সমস্যা শান্তিতে মিটুক।

গত প্রায় ৭ সপ্তাহ ধরে পূর্ব লাদাখের একাধিক স্থানে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই উত্তেজনাই চরম আকার নেয় যখন গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন।

আরও পড়ুন- চিনের বিরুদ্ধে ‘আর্থিক ত্রিশূল’ হামলা দিল্লির

আরও পড়ুন- সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন, দীর্ঘমেয়াদি সঙ্ঘাতের জন্য প্রস্তুতি ভারতেরও

ভারতের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। যে ভাবে দু’দেশের সীমান্তে এই হানাহানির ঘটনা ঘটেছে তারও সমালোচনা করে আমেরিকা।

ট্রাম্পের দেশের তরফে এ কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়, ২০১৯ সালে যখন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছিলেন, তখন দুই নেতাই দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক ও সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছিলেন।

আমেরিকার ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো তানভি মদন মার্কিন কংগ্রেসের হাউস সিলেক্ট ইন্টেলিজেন্স কমিটির সদস্যদের বলেছেন, ‘‘আমেরিকা যদি ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে চায়, তা হলে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি যাতে আরও বাড়তে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই ধরনের সমর্থন ভবিষ্যতে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে সাহায্য করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE