প্রতীকী ছবি।
আমেরিকায় ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ফাইজারের করোনা টিকা বড়দিনের আগেই বাজারে আসতে পারে। বৃহস্পতিবার ফাইজারের সহযোগী সংস্থা বায়োএনটেকের কর্ণধার উগুর সাহিন বলেন, ‘‘সব কিছু ঠিক মতোই এগোচ্ছে। আশা করছি ডিসেম্বরের গোড়াতেই আমরা করোনা টিকা উৎপাদনের ছাড়পত্র পেয়ে যাব। ক্রিসমাসের আগেই বাজারে আনতে পারব।’’
জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এমআরএনএ প্রযুক্তির সাহায্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ফাইজার। বুধবার ফাইজার কর্তপক্ষ জানিয়েছিলেন, মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে তাঁদের করোনা টিকা।
উগুর এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের তৈরি টিকায় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধরা পড়েনি। বয়স এবং অবস্থান ভেদে টিকার কার্যকারিতার কোনও তারতম্য হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, বিশ্বের ৬টি দেশের প্রায় ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর ফাইজার-বায়োএনটেক করোনা টিকার পরীক্ষা হয়েছে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কয়েকটি ক্ষেত্রে টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগের পরেই মাথাব্যথা, জ্বর, পেশিতে যন্ত্রণা-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা দিলেও কতদিন টিকার কার্যকারিতা থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ফাইজার কর্তৃপক্ষ অবশ্য বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন, হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত ফলাফল বিশ্লেষণের রিপোর্ট আমেরিকার ‘ফুড ড্রাগ অ্যান্ড সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর কাছে পেশ করে টিকা উৎপাদনের অনুমতি চাওয়া হবে বলে। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়াতেই মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার অন্তর্বর্তী রিপোর্টে ৯০ শতাংশ সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছিল আমেরিকার সংস্থাটি। ফাইজারের চেয়ারম্যান অ্যালবার্টা বুর্লাওবলেছিলেন, ‘‘অতিমারির চরম পর্যায়ে আমাদের তৈরি প্রতিষেধক নতুন মাইল ফলক ছুঁয়েছে। বিজ্ঞান এবং মানবজাতির জন্য এটি বিরাট সুখবর।’’
আরও পড়ুন: ৯৫ শতাংশ কার্যকর হয়েছে করোনা টিকা, দাবি ফাইজারের
ভারত সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ফাইজারের টিকা এ দেশে ব্যবহার করা হবে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, গোটা দেশ জুড়ে ফাইজারের টিকা বণ্টন করতে হলে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি কোল্ড চেনের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে। এ দেশে সেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা কঠিন। এখনও পর্যন্ত দেশে-বিদেশে যে সমস্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে, তার মধ্যে একটি বাদে অন্যগুলির অধিকাংশকেই সাধারণ তাপমাত্রা থেকে মাইনাস ২০ ডিগ্রির মধ্যে সংরক্ষণ করা সম্ভব। সেই পরিকাঠামো ভারতের রয়েছে।
আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ফের ৪৫ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল মৃত্যুও
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এ দিন প্রতিষেধক ছাড়াই করোনা মোকাবিলার সওয়াল করেছে। ‘হু’-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান এ দিন বলেন, ‘‘করোনা টিকাকে ম্যাজিক সমাধান বলে ভেবে নেওয়া অনুচিত হবে। আমাদের ভাবতে হবে টিকার সাহায্য ছাড়াই করোনাভাইরাসের মোকাবিলার কথা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy