Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

রাশিয়া থেকে সুদান, সরব বিশ্বের নারীরা

রাষ্ট্রপুঞ্জ সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, শুধু ২০১৭ সালেই ৮৭ হাজার মহিলা ও কিশোরী খুন হয়েছেন গোটা বিশ্বে।

নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে তুরস্কের মহিলারা।—ছবি এএফপি।

নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে তুরস্কের মহিলারা।—ছবি এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
প্যারিস শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:১৮
Share: Save:

দিন কয়েক আগে শুরুটা করেছিলেন ফ্রান্সের কিছু মহিলা। তাঁদের বিরুদ্ধে চলা দীর্ঘ নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন ফরাসি মহিলাদের একাংশ। খুব সম্প্রতি রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে লেবাননের প্রতিবাদী মহিলাদেরও। এ বার রাশিয়া, সুদান, গুয়াতেমালা, তুরস্কের মতো দেশের নারীরাও সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তুলছেন। দেশ আর ভাষা ভিন্ন হলেও প্রতিবাদে তাঁরা এক। বছরের পর বছর ধরে চলা অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের নারীরা।

রাষ্ট্রপুঞ্জ সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, শুধু ২০১৭ সালেই ৮৭ হাজার মহিলা ও কিশোরী খুন হয়েছেন গোটা বিশ্বে। তাঁদের বিরুদ্ধে হয়ে চলা লাগাতার অত্যাচার আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে পথে নামেন ফরাসি মহিলারা। বিশাল মিছিলে শামিল হন তাঁরা। চাপে পড়ে ফ্রান্সের সরকার জানিয়েছে, এখন থেকে নারীদের বিরুদ্ধে নির্যাতন হলে সেই তথ্য জানাতে পারবেন চিকিৎসকেরা। শারীরিক নির্যাতনের মতো মানসিক নির্যাতনের শিকার মহিলারাও যাতে সুচিকিৎসা পান, সেই বন্দোবস্ত করার কথাও বলেছে ফরাসি সরকার।

গত কাল ছিল আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিরোধী দিবস। আর সেই উপলক্ষেই তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলে বিক্ষোভে শামিল হতে দেখা গিয়েছে প্রায় দু’হাজারেরও বেশি মহিলাকে। সেই বিক্ষোভ ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস, প্লাস্টিক বুলেটও ছুড়তে হয়েছে পুলিশকে।

নির্যাতন বন্ধের দাবিতে কাল রাস্তায় নেমেছিলেন রুশ মহিলারাও। মস্কো শহরে বিশাল মিছিল করে নারী অধিকার রক্ষা নিয়ে সরব হন তাঁরা। সরকার যাতে এ নিয়ে বিশেষ বিল পাশ করে, মিছিলে সেই দাবিও রেখেছেন রুশ মহিলারা। সুদানেও একই ছবির দেখা মিলেছে কাল। গত কয়েক দশকে এই প্রথম খার্তুমে পথে নামেন প্রতিবাদী মহিলারা। তাঁদের স্লোগান ছিল, ‘‘স্বাধীনতা, শান্তি আর সুবিচার।’’ স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদেও একই ধরনের প্রতিবাদ চোখে পড়েছে। চলতি বছরে নিজেদের সঙ্গী বা প্রাক্তন সঙ্গীদের হাতে খুন হয়েছেন কমপক্ষে ৫২ জন স্প্যানিশ মহিলা। ফ্রান্সে সেই সংখ্যাটাই ১১৭। কালকের দিনটি স্মরণে রাখতে মাঝ রাতে এক মিনিট স্তব্ধ ছিল আইফেল টাওয়ারের আলো। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদোয়ার ফিলিপের বক্তব্য, এই ধরনের আন্দোলন সরকারের কাছে ইলেকট্রিক শকের মতো কাজ করবে বলে তিনি আশা করেন। নারীবাদী আন্দোলনের চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গোটা দেশ থেকে লিঙ্গবৈষম্য দূর করার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE