ক্ষমতা দখলের পরেই ব্যয়সঙ্কোচের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুরুটা করেছিলেন নিজেই। প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত বাসস্থান ছেড়ে সামরিক সচিবের জন্য নির্ধারিত বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবার পাক মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল ইমরান সরকার।
সরকারি খরচে দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সেনেটের চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার-সহ সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের প্রথম শ্রেণির বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। এ বার থেকে বিজ়নেস ক্লাসে সফর করবেন তাঁরা। বন্ধ করা হচ্ছে বিশেষ বিমানে বিদেশ সফরও। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যদের বিবেচনাধীন আর্থিক তহবিলও তুলে দেওয়া হল। তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফ এই খাতে বছরে ৫১০০ কোটি পাকিস্তানি টাকা খরচ করেছেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের মেয়াদ দৈনিক আট ঘণ্টা রাখা হলেও দফতর খুলবে সকাল ন’টায়। তবে সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন কমানোর প্রস্তাব রাখা হলেও কয়েক জন মন্ত্রীর বিরোধিতার জেরে বহাল থাকছে শনি ও রবির সাপ্তাহিক ছুটি। পঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পূর্বতন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ প্রকল্পগুলির জন্য অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা। গঠন করা হচ্ছে বিশেষ টাস্ক ফোর্সও। যা ঝুপড়ির বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিষয় খতিয়ে দেখবে। রাজধানীর প্রশাসনিক ও উন্নয়ন বিভাগকে আলাদা মন্ত্রক হিসেবে না রেখে অন্যান্য মন্ত্রকের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে গত কালের বৈঠকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy