প্রতীকী ছবি।
ইস্টার রবিবারের বিস্ফোরণের পরে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি শ্রীলঙ্কার কাছে সে দেশের ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে) সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য চাইল।
কূটনৈতিক সূত্রে জানানো হচ্ছে, এই টিএনজে-র আঞ্চলিক (দক্ষিণ এশিয়া) এবং আন্তর্জাতিক সংযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছে সাউথ ব্লক। গোয়েন্দা সংস্থার অনুমান, এই টিনএনজে-র সঙ্গে পাকিস্তানের মাটিতে গড়ে এবং বেড়ে ওঠা লস্কর-ই-তইবার সংযোগ থাকার আশঙ্কা খুবই বেশি। লস্করের শ্রীলঙ্কা-সংযোগ যথেষ্ট পুরনো। কিন্তু সাউথ ব্লকের ধারণা ছিল, সাম্প্রতিক অতীতে সেই সংযোগ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সে দেশে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের ঘটনার পর আবার নড়েচড়ে বসেছে ভারত। দিল্লি মনে করছে, পাকিস্তানের এই জঙ্গি সংগঠন আবার তাদের জাল বিস্তৃত করছে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে।
সূত্রের খবর, ফিদায়েঁ জঙ্গি বাছাই করার আগে শ্রীলঙ্কায় প্রশিক্ষণের জন্য পরিকাঠামো তৈরি ছিল লস্করের। ২০১০-এ পুণের জার্মান বেকারি নাশকতাকাণ্ডের সময়ে ধৃত লস্কর জঙ্গি মির্জা বেগ জানিয়েছিল, সে এবং তার মতো আরও কয়েক জন শ্রীলঙ্কার জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্তের পরে কলম্বোর দাবি, ১৫ মার্চ নিউজ়িল্যান্ডের নাশকতার বদলা হিসেবে কলম্বোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আইএস-ও হামলার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু দিল্লির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আজকের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের যুগে কোনও নাশকতাই বিচ্ছিন্ন নয়। ভারত বোঝার চেষ্টা করছে, স্থানীয় টিএনজে-র সঙ্গে কোন কোন বৃহত্তর সন্ত্রাস নেটওয়ার্কের যোগাযোগ রয়েছে। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কাকে জানানো হয়েছে যে, তদন্তে যে কোনও ধরনের সহায়তা করতে ভারত প্রস্তুত।
অদূর ভবিষ্যতে বিমস্টেক-এর ছাতার তলায় থাকা বঙ্গোপসাগর-সংলগ্ন রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী প্রোটোকল তৈরির কাজ শুরু করা হবে। সেই কাজে নেতৃত্ব দিতে চায় সাউথ ব্লক। দেশে নতুন সরকার এলেই কাজ শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ঘটনাকে সামনে রাখতে চায় ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy