Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Kim Jong Un

স্বাস্থ্য-জল্পনা উড়িয়ে ফের সর্বসমক্ষে কিম জং উন

শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ দাবি করেছে, মে দিবস উপলক্ষে রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর কাছে সানচনে গিয়েছিলেন কিম।

কিম জং উন। শুক্রবার সার করাখানায়। ছবি: পিটিআই।

কিম জং উন। শুক্রবার সার করাখানায়। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
সোল শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২০ ১১:০১
Share: Save:

তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবরও পাওয়া যাচ্ছিল যে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের অবস্থা গুরুতর। শুধু তাই নয়, এমনও খবর রটেছে যে, কিমের মৃত্যু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে রকম একটি ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়। তবে এত দিন এ সব নিয়ে উত্তর কোরিয়া থেকে কোনও প্রতিক্রিয়াই মেলেনি। ফলে কিমকে নিয়ে জল্পনাটা আরও পাকতে শুরু করে।

তবে শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ দাবি করেছে, মে দিবস উপলক্ষে রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর কাছে সানচনে গিয়েছিলেন কিম। সেখানে একটি সার কারখানার উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনের সময় ফিতেও কাটেন। এই সফরে কিমের সঙ্গে ছিলেন বোন কিম ইয়ো জং এবং দেশের দেশের শীর্ষ কর্তারা।

কেসিএনএ-তে প্রকাশিত রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষ হাজির ছিলেন। তাঁরা তাঁদের নেতাকে উল্লসিত অভিবাদন জানান। এর পরই কিম কারখানা ঘুরে দেখেন। দেশে এমন একটা কারখানা তৈরি হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশও করেছেন বলে দাবি কেসিএনএ-র।

কেসিএনএ-র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, খুব আবেগের সঙ্গে কিম বলেছেন, তাঁর পিতামহ কিম ইল সাং এবং বাবা দ্বিতীয় কিম জং যদি বেঁচে থাকতেন তা হলে এই সার কারখানা তৈরির খবরটা পেয়ে খুব খুশি হতেন। উত্তর কোরিয়ার আরও এক সরকারি সংবাদপত্র রডং সিনমান কিমের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে। সেখানে কিমকে কালো টুপি পরে কারখানার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে।

সানচনে সার কারখানা উদ্বোধনের ফিতে কাটছেন কিম। এমনই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।

আরও খবর: করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমতি হোয়াইট হাউসের

আরও খবর: উহানেই করোনা তৈরি হয়: ট্রাম্প

কিমকে নিয়ে জল্পনার সূত্রপাত গত ১৫ এপ্রিল। ওই দিন তাঁর পিতামহের জন্মবার্ষিকী ছিল। এই দিনটা গোটা উত্তর কোরিয়ার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে কিমের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। নানা প্রশ্ন ঘুরতে থাকে, তা হলে কি কিম গুরুতর অসুস্থ। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ওয়েব পোর্টাল জানিয়েছিল, হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর সঙ্কটজনক অবস্থায় একটি রিসর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সেখানে পরিবার-পরিজন রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। একটি চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তবে সেই সময় পিয়ংইয়ংয়ের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

তার পরই শোনা যায়, কিম নাকি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এর পরই কিমকে নিয়ে গুজব ছড়ায় স‌োশ্যাল মিডিয়ায়। বলা হয়, ৩৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক। এ নিয়ে তখনও উত্তর কোরিয়ার তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এটা পুরোটাই রটনা বলে জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

এ নিয়ে প্রথম দিকে কোনও মন্তব্য করেনি দক্ষিণ কোরিয়াও। যদিও পরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের এক শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা দাবি করেন, কিম ‘জীবিত এবং সুস্থ’।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE