নিজের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুবাইয়ের এক তরুণী। ছবিটি পোস্ট হতেই তাঁকে কটাক্ষ করে উড়ে আসতে থাকে একের পর এক কমেন্ট। যা দেখে খুবই মুষড়ে পড়েছিলেন তরুণী। মানসিক পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে তিনি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
চটপট ফোনটা তুলে নেন হাতে। যে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে তিনি ভীষণ ভাবে ট্রোলড হন, সেই মিডিয়াকেই সাক্ষী রেখে নিজের মৃত্যু বার্তা লিখে ফেললেন— ‘আত্মহত্যা করতে চলেছি, লাইভ ভিডিয়োতে সেটা দেখতে পাবেন।’ পোস্ট করা মাত্রই হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে সেই বার্তা।
বার্তাটি পুলিশের হাতে এসেও পৌঁছয়। সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে বার্তা প্রেরকের খোঁজে নামে তারা। খোঁজ নিয়েপুলিশ ওই তরুণীর বাড়িতে পৌঁছয়।ঘরে ঢুকতেই তারা দেখেন মেয়েটি তার নিজের ঘরের এক কোণায় নিশ্চুপে বসে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সে সময় বাড়িতে তরুণীর মা-বাবাও ছিলেন। কিন্তু মেয়ে যে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাতে চলেছে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। পুলিশ বিষয়টি জানাতেই চমকে ওঠেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিয়ে করতে ভারতে এসে জেল, ১০ বছর পর পাকিস্তানে ফিরছেন ওয়ার্সি
আরও পড়ুন: দিল্লিতে সিআইডির জালে ভারতী ঘোষের প্রাক্তন দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল
পুলিশকে বাড়িতে দেখেই প্রচণ্ড রেগে যান তরুণী। চিত্কার করতে থাকেন।অনেক চেষ্টার পর পুলিশ তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন জানতে চাওয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন তরুণী। জানান, তাঁর পোস্ট করা ছবিতে যে ভাবে অপমানজনক মন্তব্য করা হয়েছে, সেটা মেনে নিতে পারছিলেন না। ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে পড়ছিলেন। এই অপমান থেকে নিজেকে মুক্তি দিতেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। পুলিশ যদিও সঠিক সময়ে পৌঁছে ওই তরুণীকে রক্ষা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy