অ্য়ান্ড্রু, অ্যাশলে, পল (বাম দিক থেকে)। ছবি: ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।
পল টারকোট খুব বেশি দিন চিনতেনও না মেয়ের বয়ফ্রেন্ডকে। কিন্তু সেই যুবকের কারণেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন পল। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলনে তিনি। সে খবর জানতে পারার পরই বান্ধবীর বাবাকে কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নেন বছর তেইশের অ্যান্ড্রু মেজাক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের রোচেস্টারের বাসিন্দা অ্যান্ড্রু মেজাক। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কয়েক বছর আগে পরিচয় হয় অ্যাশলে টারকোটের সঙ্গে। দু’জনেই দু’জনকে পছন্দ করেন। কিন্তু বেশ কিছু দিন অ্যাশলে একটি পারিবারিক তথ্য অন্ড্রুর কাছে গোপন করে রেখেছিলেন। অ্যাশলের বাবা দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া বাঁচা কার্যত অসম্ভব বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিত্সকরা। অনেক পরে বিষয়টি জানতে পারেন অ্যান্ড্রু। জানার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন বান্ধবীর বাবাকে একটি কিডনি দান করবেন।
অ্যান্ড্রু জানিয়েছেন, তিনি অ্যাশলের বাবার কথা শুনে তিনি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারপর কিডনি দানের চিন্তা ভাবনা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। দেখেন তাঁর কিডনি ম্যাচ করছে কি না। এর পরেই কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নেন অ্যান্ড্রু।
আরও পড়ুন: ছবি তুলতে গিয়ে ছয় হাজার ফুট উপরে পিছলে গেল পা, তারপর... ভিডিয়ো দেখলে গায়ে কাঁটা দেবে!
যেমন ভাবা তেমন কাজ। পরিবার ও চিকিত্সকদের সঙ্গে আলোচনা চলে। চিকিত্সকরা সবুজ সঙ্কেত দেন। বলেন অ্যান্ড্রুর কিডনি পলের শরীরে প্রতিস্থাপন করলে কোনও সমস্যা হবে না। তারপর ১ অক্টোবর অস্ত্রোপচার হয়। এখন তাঁরা দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নুড প্যান্টসুটে বিশ্বকাপের ট্রফি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে করিনা কপূর
পলের পরিবার অ্যান্ড্রুকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। পল নিজে বলেছেন, তিনি অ্যান্ড্রুর কাছে কৃতজ্ঞ এভাবে সাহায্য করা ও তাঁর জীবন বাঁচানোর জন্য।
অ্যাশলের ফেসবুক পোস্ট:
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy