Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Covid-19 Vaccine

বিশ্ব পুরোপুরি করোনা-মুক্ত হবে না বলেই আশঙ্কা ‘হু’-র

‘হু’-এর সংশ্লিষ্ট কমিটির বৈঠকটি জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে তা দু’সপ্তাহ এগিয়ে আনা হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
জেনিভা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ১১:৩৪
Share: Save:

করোনা-মুক্ত বিশ্ব আর কোনও দিনই হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। শুক্রবার ‘হু’-র আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ক কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেন (ভ্যারিয়ান্ট)-গুলির গণসংক্রমণ প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

‘হু’-এর সংশ্লিষ্ট কমিটির বৈঠকটি জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে তা দু’সপ্তাহ এগিয়ে আনা হয়। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে প্রতিটি দেশে কারোনা টিকাকরণ অভিযান শুরুর সুপারিশ করেছে কমিটি। টিকা বণ্টনের বিষয়ে ধনী দেশগুলির ‘ভূমিকা’ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি, ‘হু’-এর টেকনিক্যাল টিমের প্রধান তথা মহামারি বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান খেরখোভ করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেনগুলির উৎপত্তি ও সংক্রমণের উৎস চিহ্নিত করা কথা বলেছেন।

বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ২ কোটি পেরিয়ে গেলেও সংক্রমণের অধোগতির ইঙ্গিত মেলেনি। বরং গত এক বছরে বার বার ‘ভোল’ বদলেছে নভেল করোনাভাইরাস। ক্রমাগত মিউটেশনের ফলে উৎপত্তি ঘটেছে বাড়তি সংক্রমণ ক্ষমতাযুক্ত স্ট্রেনের। এদের মধ্যে লন্ডন ভ্যারিয়্যান্ট (ব্রিটেনে পাওয়া করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি। যেটিকে ভিইউআই-২০২০১২/০১ অথবা বি.১.১.৭ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে) ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনের ক্ষেত্রে সংক্রমণের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা বেশি।

সম্প্রতি ব্রাজিলে পাওয়া করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেন পি.১ (মানাউস স্ট্রেন)-এর অ্যান্টিবডি প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ব্রিটেনের ‘জিটুপি-ইউকে ন্যাশনাল ভাইরোলজি কনসর্টিয়াম’। ওই স্ট্রেনটি কয়েক জন পর্যটকের মাধ্যমে জাপানে গিয়ে ফের চরিত্র বদলেছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ভাইরাস গবেষণা সংস্থাটির তরফে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বে কখনও আর ‘কোভিড-১৯ রোগী শূন্য’ হবে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান ‘হু’।

আরও পড়ুন: বাইডেনের আর্থিক পরামর্শদাতা টিমে কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত সামিরা

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে ‘হু’-এর তরফে জানানো হয়েছে, জিন প্রযুক্তির সাহায্যে ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সবগুলি স্ট্রেন চিহ্নিত করা প্রয়োজন। প্রয়োজন বিশ্বজুড়ে তথ্যের আদানপ্রদান। না হলে আরও বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। প্রসঙ্গত, আমেরিকাবাসী ভারতীয় চিকিৎসক তথা পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, করোনার নতুন স্ট্রেনগুলির বিপদ সম্পর্কে সচেতন না হলে বিশ্বকে আরও ৫ লক্ষ মৃত্যু দেখতে হবে। এ বার কার্যত তেমনই উদ্বেগ জানিয়েছে ‘হু’।

আরও পড়ুন: ১৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র এবং সরঞ্জাম কিনছে সেনা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE