রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকায় কোনও এক বার পুষ্টিবিদের পরামর্শ শুনে ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসি খেতে শুরু করেছিলেন। তার পর নিয়মিত আর খাওয়া হয়নি। পড়ে থেকে কেমন একটা তেলচিটে গন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনই গন্ধ যে, কোনও ভাবেই তা খাওয়া যায় না। কিন্তু এত দামি তিসি ফেলে দিতেও গায়ে লাগছে। তাই বন্ধুর পরামর্শ শুনে তা মাথায় মাখতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলেন চুল ঝরা কমাতে, চুলের ফলিকলগুলিকে মজবুত করে তুলতে তিসি দারুণ কাজ করে। কিন্তু তিসিতে এমন কী আছে, যার জন্য চুলের এত উপকার হতে পারে?
আরও পড়ুন:
তিসিতে কী কী আছে?
১) তিসিতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাছের মধ্যেও থাকে। তবে তা ফ্ল্যাক্সসিডের থেকে কিছুটা হলেও আলাদা। উদ্ভিজ্জ আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
২) ভিটামিন বি-র প্রাকৃতিক উৎস হল তিসি। চুল মজবুত করতে এবং চুলের জেল্লা ধরে রাখতে ভিটামিন বি-র যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
৩) চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন অনেকে। তবে ভিটামিন ই-র প্রাকৃতিক উৎস হল তিসি। চুলের জেল্লা ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে এই ভিটামিন ই।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে মাখবেন তিসি?
১) তিসির তেল:
মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে তিসির তেল। ফলিকল মজবুত করে। চুল ঝরা কমলে স্বাভাবিক ভাবেই ঘনত্ব বাড়বে।
২) তিসির মাস্ক:
এক কাপ জলে ২ টেবিল চামচ তিসি দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ঘন হলে এলে গ্যাস বন্ধ করে ফেলুন। ওই ঘন মিশ্রণ থেকে তিসি ছেঁকে বাদ দিয়ে দিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন মধু। এ বার মাথার ত্বকে, চুলে মেখে ফেলুন। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিন। যাঁদের চুল খুব পাতলা, তাঁদের জন্য এই টোটকা ভীষণ উপকারী।
৩) তিসি ভেজানো জল:
হাতে খুব বেশি সময় না থাকলে তিসি ভেজানো জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। কন্ডিশনার ছাড়াই চুল হবে জটমুক্ত। সালোঁয় গিয়ে স্পা করানোর প্রয়োজন পড়বে না, জেল্লাও বৃদ্ধি পাবে।